বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Mamata Banerjee: ‘‌আমায় দিলে আধঘন্টায় মানুষের স্বার্থে বাজেট করে দিতাম’‌, নির্মলাকে তোপ মমতার

Mamata Banerjee: ‘‌আমায় দিলে আধঘন্টায় মানুষের স্বার্থে বাজেট করে দিতাম’‌, নির্মলাকে তোপ মমতার

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। (PTI)

চলতি বাজেটে আবাস যোজনায় ৬৬% বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে। বলা হয়েছে, কৃষকদের কল্যাণ ও গ্রিন এনার্জিতে জোর দেওয়া হবে। পিছিয়ে পড়া জনজাতিগুলির উন্নয়নে বিশেষ তহবিল গড়ে তোলা হবে বলেও চলতি বাজেটে জানিয়েছেন নির্মলা। তবে প্রতি বছরের মতোই এবারের বাজেটেও রেল সম্পর্কে তেমন বড় কিছু ঘোষণা করা হয়নি।

আজ, বুধবার সংসদে নির্মলা সীতারামন মোদী সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করেন। তখন বীরভূমের মাটিতে দাঁড়িয়ে সরকারি কর্মসূচি শুরু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় বাজেটের বিষয়ে চোখ বুলিয়ে নিয়ে সেখান থেকেই তোপ দাগলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এই বাজেটে ভবিষ্যতের জন্য কোনও আশার আলো নেই বলে মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই বাজেট শুধুই অন্ধকার, শুধুই অমাবস্যা। এই বাজেট গরিব এবং বেকারদের বিরোধী বলে তাঁর ব্যাখ্যা। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, তিনি হলে গরিব এবং সাধারণ মানুষের স্বার্থের বাজেট আধ ঘণ্টায় করে দিতেন।

এদিন সরাসরি এই বাজেটকে ধিক্কার জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী তাই বলেন, ‘এটা একটা সুবিধাবাদী বাজেট। কোনও আশার আলো নেই। শুধু অমাবস্যার অন্ধকার। আমি এই বাজেটকে ধিক্কার জানাই। কেন্দ্রীয় সরকার একটা না কি বাজেট করেছে। বাজেট না কি অন্য কিছু? মুখে বলা হচ্ছে, দারুণ বাজেট। কী দারুণ? একটা কথা বেকারদের জন্য বলা নেই’। আর নির্মলা সীতারামন বলেন, ‘‌ভারত এখন বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি। ২০৪৭ সাল পর্যন্ত ভারতকে পথ দেখাবে এবারের বাজেট। উন্নতির শেষ সীমা পর্যন্ত দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে এই বাজেট।’‌

এদিকে এই বাজেট গরিব মানুষের বিরোধী বলে সুর চড়িয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ‘আগের বছর ১০০ দিনের কাজের টাকা কমিয়েছিল। এবার পুরো কোপ বসিয়েছে। এটা ‘ক্রিমিনাল অফেন্স’। আমায় দিতেন বাজেট করতে, দেখিয়ে দিতাম কীভাবে গরিব মানুষের স্বার্থে বাজেট করা যায়। কীভাবে দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করা যায়’‌।

অন্যদিকে কেন্দ্রের চালু করা ‘উজ্জ্বলা যোজনা’র কথা তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উপস্থিত জনতার উদ্দেশে তাঁর প্রশ্ন, ‘সুজলা না উজ্জ্বলা কী একটা করেছিল? পাচ্ছেন আপনারা গ্যাস? এই বাজেট ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে নয়। এটা সুবিধাবাদী বাজেট। এই বাজেটে আশার আলো নেই। অন্ধকার, অমাবস্যা আছে। এটা গরিব বিরোধী বাজেট।’‌ আসলে গ্যাসের দামে এখন ছ্যাঁকা খাচ্ছেন গরিব–মধ্যবিত্ত মানুষজন। অথচ তা নিয়ে একটিও শব্দ খরচ করেননি অর্থমন্ত্রী। অর্থাৎ রান্নার গ্যাসের দাম বেড়েই রইল।

এছাড়া চলতি বাজেটে আবাস যোজনায় ৬৬% বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে। বলা হয়েছে, কৃষকদের কল্যাণ ও গ্রিন এনার্জিতে জোর দেওয়া হবে। পিছিয়ে পড়া জনজাতিগুলির উন্নয়নে বিশেষ তহবিল গড়ে তোলা হবে বলেও চলতি বাজেটে জানিয়েছেন নির্মলা। তবে প্রতি বছরের মতোই এবারের বাজেটেও রেল সম্পর্কে তেমন বড় কিছু ঘোষণা করা হয়নি। তাই মুখ্যমন্ত্রীর সাফ কথা, ‘‌এই সরকারের সময়ে গরিব ও নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষ ক্রমশ দুর্দশাগ্রস্থ হয়েছেন। আর কিছু লোকের সম্পদ বেড়েছে। আজ সব নকল করার খেলা। আমরা ১১ লক্ষ স্বনির্ভর গোষ্ঠী করেছি। ওরা টুকলি করে সংখ্যা দেখাচ্ছে। যে বাজেট ওঁরা করেছেন, আমায় করতে দিতেন, আমি আধ ঘণ্টা সময় নিতাম।’‌

বন্ধ করুন