রাজ্যে অজানা জ্বরে শিশু মৃত্যু নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এমনকী কেন্দ্রের বিশেষজ্ঞ দল পাঠাতে আর্জি জানিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, রাজ্য প্রশাসন ভোট নিয়ে ব্যস্ত কোনও কাজ করছেন না। কিন্তু বৃহস্পতিবার শিশুদের কথা ভেবেই এসএসকেএম হাসপাতালে এলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানে তিনি একটি বৈঠক করেন। তবে ভাইরাসটি চিহ্নিত করা হয়েছে বলে স্বাস্থ্য–বৈঠক শেষে জানালেন স্বাস্থ্য দফতরের প্রধান সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম।
প্রায় প্রতি বৃহস্পতিবারই এসএসকেএম হাসপাতালে আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এবারের আসাটা ছিল উদ্বেগের বিষয় নিয়ে। কারণ উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ অজানা জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পড়ছিল শিশুরা। এমনকী অনেকে মারাও যাচ্ছে। এই নিয়েই এখন তোলপাড় গোটা রাজ্য। তাই কলকাতার পাঁচ হাসপাতালের পরিকাঠামো নিয়ে এসএসকেএমে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সব ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সকালেই আমি খোঁজ নিয়েছিলাম। ওটা অন্যভাবে লেখা হয়েছে। বাকি যা জানার সেটা স্বাস্থ্য সচিবের কাছ থেকে জেনে নেবেন।’
তারপর স্বাস্থ্য দফতরের প্রধান সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম বলেন, ‘ভাইরাস চিহ্নিত করা হয়েছে। গোটা বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে। যে কটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে, তার কারণ অন্য। রোগ চিহ্নিত হয়েছে। পরিকাঠামোও যথেষ্ট, ওষুধও পাঠানো হয়েছে। সবকিছু পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে।’ স্বাস্থ্যদফতর সূত্রে খবর, বিষয়টি নিয়ে এদিন সকালেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খোঁজখবর নিয়েছেন।
আজ পরিকাঠামোর আরও উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী বলে সূত্রের খবর। কিভাবে পরিকাঠামো ঢেলে সাজানো যায়, শয্যাসংখ্যা বৃদ্ধি করা যায় এবং মেডিক্যাল কলেজের আসন সংখ্যাও বাড়ানো যায়, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। ইতিমধ্যেই কলকাতা মেডিক্যালে আরও ২০টি বেড বাড়ানো হয়। স্বাস্থ্য দফতরের আশ্বাস, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই আছে।