শুক্রবার মারাঠা স্ট্রংম্যান শরদ পাওয়ারের বাসভবনে হামলা হয়েছে। ইট–পাটকেল ছুঁড়ে বাড়ির কাঁচ বাঙা হয়েছে বলে অভিযোগ। মহারাষ্ট্র স্টেট ট্রান্সপোর্টের কর্মীরা শরদ পাওয়ারের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ। এমনকী তাঁদের ঘেরাওয়ের মধ্যে পড়েন শরদ পাওয়ারের কন্যা তথা সাংসদ সুপ্রিয়া সুলে। বিক্ষোভকারীরা তখন সাংসদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন বলেও অভিযোগ। এই ঘটনায় এবার প্রতিবাদে গর্জে উঠলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজ, শনিবার মহারাষ্ট্রের উপ–মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার এই ঘটনাকে গোয়েন্দাদের ব্যর্থতা বলে উল্লেখ করেছেন। এমনকী এই ঘটনার তদন্তের দাবি করেছেন তিনি। শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত এই ঘটনার পিছনে ষড়যন্ত্র আছে বলে মনে করছেন। মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দিলীপ পাতিল সংবাদসংস্থাকে বলেন, ‘আমি ইতিমধ্যেই পুলিশ কমিশনারকে কড়া পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দিয়েছি। যারা এই ঘটনায় যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।’
ঠিক কী বলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী? এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করে এই ঘটনার প্রতিবাদ করেছেন। তিনি লেখেন, ‘আমি এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করছি। ভারতের একজন প্রবীণ জনপ্রতিনিধির বাড়িতে হামলা হয়েছে। আমি স্বাগত জানাচ্ছি মহারাষ্ট্রের প্রশাসনের বিবৃতিকে। যেখানে কড়া পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে।’
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছিল? পুলিশ সূত্রে খবর, মহারাষ্ট্র স্টেট রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের প্রায় ১০০ কর্মী দক্ষিণ মুম্বইতে শরদ পাওয়ারের বাড়ি ঘেরাও করেন। এমনকী তাঁর বিরুদ্ধে তাঁরা স্লোগান দেন। তাঁদের দাবি, এমএসআরটিসি–কে পুরোপুরি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হিসাবে ঘোষণা করতে হবে। অভিযোগ, বারবার এই দাবি জানানো সত্ত্বেও শরদ পাওয়ার তাতে কান দিচ্ছেন না। তাঁদের রাজ্য সরকারি কর্মী হিসাবে গণ্য করা হোক বলে দাবি।