যিনি রাঁধেন তিনি চুলও বাঁধেন। এই কথা তিনি নিজেও বহুবার বলেছেন। এবার সেই প্রমাণ দিলেন তিনি নিজেই। আগেও বহুবার একাধিক ছবি এঁকেছেন। এবারও আঁকলেন চরম ব্যস্ততার মধ্যেও। হ্যাঁ, তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের জন্য লোগো আঁকলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কী হবে এই লোগো দিয়ে? জানা গিয়েছে, এই লোগো রাজ্য সরকারের তৈরি বাড়িতে লাগানো হবে। শহরের গরীব মানুষের জন্য এই প্রকল্প হাতে নিয়েছে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। বাড়ি তৈরি করে সেই বাড়ির দরজায় বসানো হবে এই লোগো। যাতে বোঝা যায়, বাড়িটি তৈরি হয়েছে বাংলার বাড়ি প্রকল্পে। মুখ্যমন্ত্রী মানুষের মাথার ছাদ তৈরি করে দিতে চেয়েছেন। আগামী পাঁচ বছরে ২০ লাখ পাকা বাড়ি তৈরির কথা ঘোষণা করেছেন তিনি।
ভবানীপুর উপনির্বাচন নিয়ে তিনি ব্যস্ত। তাঁর মধ্যেই এঁকে দিলেন লোগো। এই প্রকল্পের আওতায় শহরের গরীব মানুষকে নিয়ে আসতে পুরসভার মাধ্যমে সভার আয়োজন করছে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। এই সভার নাম ‘প্রকল্প কথা’। গরীব মানুষ যাতে এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারেন, তাই এই সভা। এক ফালি নিজস্ব জমি বা বাড়ি থাকলেই মিলবে এই সুবিধা। প্রতিটি বাড়ির খরচ সর্বোচ্চ ৩ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। কেন্দ্রীয় সরকার দেবে দেড় লাখ টাকা। রাজ্য সরকার খরচ করবে ১ লাখ ৯৩ হাজার টাকা।
এখনও পর্যন্ত এই খাতে মোট খরচ হয়েছে ৭ হাজার ৮৯৬ কোটি ২৭ লাখ টাকা। কাজের স্বচ্ছতা রক্ষায় জিপিএস ট্যাগিং করা হয়েছে। সুতরাং প্রতিটি বাড়ি তৈরি করার কাজ কেন্দ্রীয়ভাবে নজরদারি করা সম্ভব হচ্ছে। তার ভিত্তিতেই বরাদ্দ করা হচ্ছে অর্থ। এসবের মধ্যেই বাংলা সারা দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠত্বের সম্মান পেয়েছে কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের পক্ষ থেকে।
নবান্ন এই প্রকল্পকে মানুষের দুয়ারে পৌঁছে দিতে পদ্ধতির সরলীকরণ করেছে। প্রতিটি পুরসভায় গ্রিভান্স সেল চালু করা হচ্ছে। ‘প্রকল্প কথা’ নামে একটি বইও তৈরি করা হয়েছে। একটি পাস বই দেওয়া হবে উপভোক্তাকে। তাতে তাঁর বাড়ি তৈরির জমির পরিমাণ, নির্মাণের সরকারি ছাড়পত্র, নকশা, কোন দফায় কত টাকা সরকারের কাছ থেকে মিলবে, তার বিস্তারিত উল্লেখ থাকবে। বাড়ির শেষ হলে মিলবে সরকারি শংসাপত্র। আর বাড়িতে বসানো হবে মুখ্যমন্ত্রীর আঁকা বাংলার বাড়ির সরকারি লোগো।