বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Mamata Banerjee: ‘‌নিয়োগের করতে গেলেই মিলছে স্থগিতাদেশ’‌, বিধানসভায় উষ্মাপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর

Mamata Banerjee: ‘‌নিয়োগের করতে গেলেই মিলছে স্থগিতাদেশ’‌, বিধানসভায় উষ্মাপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর

বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর এই উষ্মাপ্রকাশের দিনই অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করে বেআইনি শিক্ষকদের চাকরি বাঁচানোর সিদ্ধান্ত কার, তা নিয়ে রাজ্যের শিক্ষা সচিব মনীশ জৈনকে তলব করেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। রাজ্য সরকারও পাল্টা ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর আদালতের প্রতি আর্জি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।

রাজ্যের নানা ক্ষেত্রে নিয়োগ করতে গেলেই বারবার আদালতে মামলা করা হয়। ফলে নতুন নিয়োগের ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশ দিয়ে দেয় আদালত। এই কারণে ইচ্ছা থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে নিয়োগ করতে পারছে না রাজ্য সরকার। আজ, বৃহস্পতিবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে আদালতের হস্তক্ষেপ নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর বিচারব্যবস্থার উদ্দেশে তাঁর অনুরোধ, বিচারের বাণী যেন নীরবে নিভৃতে না কাঁদে। সম্প্রতি এসএসসি থেকে শুরু করে টেট–সহ নানা ক্ষেত্রে নিয়োগ ঝুলে আছে আদালতের জন্য। সেখানে আজ এই মন্তব্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

ঠিক কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী?‌ আজ, বৃহস্পতিবার বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্ব ছিল। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী উষ্মপ্রকাশ করে বলেন, ‘‌যখনই আমরা লোক নিতে চাই তখনই কেউ কোর্টে চলে যায়। আর আদালত থেকে স্থগিতাদেশ নিয়ে চলে আসছে। আমরা তিন মাসের মধ্যে নিয়োগ শেষ করতে চাই। কিন্তু কোর্টে লড়তে গিয়েই সব টাকা চলে যাচ্ছে। তাই কোর্টকে বলব এটা দেখতে। বিচারব্যবস্থা মানুষের জন্যই। তাই মানুষের জন্যই হোক। বিচারের বাণী যেন নীরবে নিভৃতে না কাঁদে।’‌

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যে বিধানসভায় কিছুক্ষণ থমথমে পরিবেশ তৈরি হয়। সরকারি নিয়োগে আদালতের গেরো যাতে না হয় সেই অনুরোধ করেছেন তিনি। রাজ্যে কর্মসংস্থান বাড়াতে চান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে এমন ঘটনা ঘটলে গোটা উৎসাহটা ধাক্কা খায় বলে বোঝাতে চেয়েছেন তিনি। শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ এনে একের পর এক মামলা করা হয়েছে। এসবের পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ও মদত রয়েছে। বিরোধীরা চান না সুষ্ঠুভাবে কোনও নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হোক। এই অভিযোগই যেন আজ ঘুরিয়ে করলেন মুখ্যমন্ত্রী।

উল্লেখ্য, বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর এই উষ্মাপ্রকাশের দিনই অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করে বেআইনি শিক্ষকদের চাকরি বাঁচানোর সিদ্ধান্ত কার, তা নিয়ে রাজ্যের শিক্ষা সচিব মনীশ জৈনকে তলব করেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। রাজ্য সরকারও পাল্টা ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর আদালতের প্রতি আর্জি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। এখন কলকাতা হাইকোর্টে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একাধিক মামলায় লড়তে হচ্ছে রাজ্য সরকারকে।

বন্ধ করুন