বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Mamata Banerjee: ‘‌ভুলতে পারি নিজের নাম, ভুলব নাকো নন্দীগ্রাম’‌, ফেসবুক পোস্টে শহিদ স্মরণ মমতার

Mamata Banerjee: ‘‌ভুলতে পারি নিজের নাম, ভুলব নাকো নন্দীগ্রাম’‌, ফেসবুক পোস্টে শহিদ স্মরণ মমতার

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Hindustan Times)

বাম জমানায় নন্দীগ্রামে জমি রক্ষার আন্দোলন শুরু হয়। জমি নিয়ে শিল্প করা হবে সেটা চাউর হয়ে যায়। আর তা প্রতিরোধ করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হন ১৪ জন গ্রামবাসী। ২০০৭ সালে ১৪ মার্চ সেই ঘটনায় তোলপাড় পড়ে যায় রাজ্য–রাজনীতি। ২০০৮ সাল থেকেই এই দিনটিকে নন্দীগ্রাম দিবস পালন করে আসছে ভুমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি।

আজ ১৪ মার্চ, নন্দীগ্রাম দিবস। ঐতিহাসিক এই নন্দীগ্রাম দিবসে শহিদদের শ্রদ্ধা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাও শুরু হয়েছে রাজ্যে। প্রশাসনিক কাজও এখন প্রচুর। এই ব্যস্ততার মধ্যেও আজ, মঙ্গলবার সকালে নিজের ফেসবুক পেজে জমি রক্ষার আন্দোলন করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারানো মানুষদের স্মরণ করলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। সেখানে তিনি অতীত ইতিহাস একটু তুলে ধরে শহিদদের শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

ঠিক কী দেখা গেল নন্দীগ্রামে?‌ আজ ১৪ মার্চ ‘‌নন্দীগ্রাম দিবস’‌। ২০০৭ সালে জমি রক্ষার আন্দোলনে অংশ নিয়ে ১৪ মার্চ নন্দীগ্রামের গোকুলনগর ও ভাঙাবেড়ায় পুলিশের গুলিতে ১৪ জন কৃষক নিহত হয়েছিলেন। সেই দিনটির স্মরণে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি পৃথকভাবে গোকুলনগর ও ভাঙাবেড়ায় নানান অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। আজ সকালে বিজেপির অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিনের শহিদ সমাবেশ থেকে আক্রমণাত্মক হন শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি দুপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকছেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। যিনি শুভেন্দুকে কড়া জবাব দিয়েছেন।

ঠিক কী লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী?‌ আজ, মঙ্গলবার সকালেই তিনি একটি ফেসবুক পোস্ট করেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রাম দিবসে শহিদদের স্মৃতির উদ্দেশে শ্রদ্ধা জানিয়ে লেখেন, ‘ভুলতে পারি নিজের নাম, ভুলব নাকো নন্দীগ্রাম। নন্দীগ্রাম দিবসে সিপিআইএমের হার্মাদ বাহিনীর নির্মম অত্যাচারের ফলে নিহত সকল শহিদদের স্মৃতির উদেশে জানাই আন্তরিক শ্রদ্ধা ও প্রণাম’। একদিকে তিনি পুরনো স্মৃতি উসকে দিলেন। অন্যদিকে নিজে আন্দোলন করেছিলেন তখন। তাই শ্রদ্ধাও জানালেন।

আর কী জানা গিয়েছে?‌ বাম জমানায় পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে জমি রক্ষার আন্দোলন শুরু হয়। কারণ এখানের জমি নিয়ে শিল্প করা হবে সেটা চাউর হয়ে যায়। আর তা প্রতিরোধ করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হন ১৪ জন গ্রামবাসী। ২০০৭ সালে ১৪ মার্চ সেই ঘটনায় তোলপাড় পড়ে যায় রাজ্য–রাজনীতি। আর ২০০৮ সাল থেকেই এই দিনটিকে নন্দীগ্রাম দিবস হিসেবে পালন করে আসছে ভুমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি। রাজ্যে পালাবদলের পরেও শহিদদের স্মৃতিতে প্রত্যেক বছর ১৪ মার্চ তৃণমূল কংগ্রেস শহিদ দিবস উদযাপন করে। মঙ্গলবারও নন্দীগ্রামে শহিদ স্মরণ কর্মসূচির আয়োজন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর আজ সকালে শহিদদের শ্রদ্ধা জানালেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

বন্ধ করুন