Mamata Banerjee: ‘এই সম্মান আমি সাধারণ মানুষকেই উৎসর্গ করতে চাই’, ডি’লিট পেয়ে মন্তব্য মমতার
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নির্বাচনে জয়ের সাফল্য থেকে সামাজিক সাফল্য যা তিনি পেয়েছেন তা সাধারণ মানুষকে উৎসর্গ করেছেন। এবারও তার অন্যথা হল না। আজ, সোমবার সাম্মানিক ডি’লিট সম্মান পেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তাঁর হাতে এই সম্মান তুলে দেওয়া হল। আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তাঁর হাত থেকেই এই সম্মান নিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আচার্য ফাদার রাফায়েল জে হাইডর উপস্থিতিতেই সম্মানপ্রদান অনুষ্ঠান হয়। এখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদান, উত্থান এবং সামাজিক ও শিক্ষাক্ষেত্রে অবদান তুলে ধরা হয়।
তবে এই সাম্মানিক ডি’লিট পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি আপ্লুত। আমি আবেগতাড়িত। গোটা সেন্ট জেভিয়ার্স পরিবারকে আমি কৃতজ্ঞতা জানাই। এই সম্মানে আমি অভিভূত। আমি তোমাদেরই লোক। আমি একজন সাধারণ মানুষ। তাই এই সম্মান আমি সাধারণ মানুষকেই উৎসর্গ করতে চাই।’ মুখ্যমন্ত্রীর এই কথা শুনে খুশি রাজ্যপাল এবং বিশ্ববিদ্যালযের আচার্য। করতালিতে ফেটে পড়ে গোটা ক্যাম্পাস।
এদিকে এই সম্মান পাওয়ার পর সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি প্রস্তাব দেন মুখ্যমন্ত্রী। আচার্য ফাদার রাফায়েল জে হাইডর–কে তিনি প্রস্তাব দেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা সাম্মানিক চেয়ার রাখা হোক মাদার টেরেসার নামে। যা শুনে অত্যন্ত খুশি হন সকলে। আজ এই সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মোট ৭৭০ জন ছাত্রছাত্রীর হাতে সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হয়। গতবছর সেন্ট জেভিয়ার্স কর্তৃপক্ষ ডি’লিট সম্মান দিতে চিঠি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েছিলেন। এই সম্মান গ্রহণে রাজি হন মুখ্যমন্ত্রী। সেন্ট জেভিয়ার্সে আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্মিত প্রশাসনিক ব্লকটির উদ্বোধন করেন। এই বিল্ডিংয়েই আগামীদিনে উপাচার্য, রেজিস্টার, কন্ট্রোলারের অফিস হতে চলেছে।
অন্যদিকে ২০১৮ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডি’লিট সম্মানে ভূষিত করেছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। তখন রাজ্যপাল ছিলেন কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। তাঁর হাত থেকে ডি’লিট নেন তিনি। নিরলস সাহিত্য সাধনার জন্য পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। এমনকী ভুবনেশ্বরের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাঁকে সাম্মানিক ডক্টরেট প্রদান করেছিল। ২০২২ সালে বাংলা অ্যাকাডেমি পুরস্কারে ভূষিত হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী কাজের মধ্যেই নিজের ইচ্ছেয় লেখালিখি করেন। এবারও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা একাধিক বই প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলাতে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup