এবারের কলকাতা বইমেলায় একাধিক বই প্রকাশ হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর। এমনকী সেই সব বই হট কেকের মতো বিক্রি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর বই এই হারে বিক্রি হতে থাকায় চাপে পড়ে যায় অন্যান্য প্রকাশকরা। সেন্ট্রাল পার্ককে আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা প্রাঙ্গণ হিসাবে ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
কবিগুরুর জন্মজয়ন্তীর দিনেই পশ্চিমবঙ্গ বাংলা অ্যাকাডেমির বিশেষ পুরষ্কার পেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একদিকে প্রশাসনের সর্বময় কর্ত্রী তিনি। অন্যদিকে ‘নিরলস সাহিত্য সাধনা’। এই জন্য পশ্চিমবঙ্গ বাংলা অ্যাকাডেমির বিশেষ পুরষ্কার পেলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর ‘কবিতা বিতান’ বইয়ের জন্য তাঁকে এই পুরষ্কার দিল বাংলা অ্যাকাডেমি।
ঠিক কী ঘটেছে আজ? আজ, সোমবার ২৫ বৈশাখ উপলক্ষ্যে কবি প্রণাম অনুষ্ঠানের আয়োজন করে তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর। সেখানেই দাঁড়িয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, সমাজের নানা কাজের পাশাপাশি যাঁরা নিরলস সাহিত্য সাধনা করে চলেছেন, তাঁদের পুরষ্কৃত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলা অ্যাকাডেমি। এমনকী সকল লেখকের সর্বসম্মতিতে এই পুরষ্কার পাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যরা এই নাম ঠিক করেছেন।
কী ঘটল অনুষ্ঠান মঞ্চে? এই অনুষ্ঠান মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু তিনি এই পুরষ্কার নিজে হাতে গ্রহণ করেননি। ব্রাত্য বসুর ঘোষণা শেষ হতেই তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর এই পুরষ্কার গ্রহণ করবেন বাংলা অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যান ব্রাত্য বসু।’ তারপর ইন্দ্রনীল–ব্রাত্যর হাতে পুরষ্কার তুলে দেন।