ধার–দেনা নিয়ে পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ১০ বছর আগে একবার বইমেলায় এমন একটি পরামর্শ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি তখন বলেছিলেন, বই আর বউ কাউকে ধার দিতে নেই। দিলে আর ফেরত পাওয়া যায় না। সেই কথা নিয়ে জোর শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। আজ, বৃহস্পতিবার ফের একবার একই কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী।
ঠিক কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী? এদিন নেতাজি ইন্ডোরে স্টেডিয়ামে স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড বিতরণ কর্মসূচিতে যোগ দেন মুথ্যমন্ত্রী। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বিদ্যা, বুদ্ধি আর ঘরের বউ–কাউকে ধার দিতে নেই। সবাই বলে।’ কেন একথা বললেন? এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনা নিয়ে সুর সপ্তমে চড়ান। তিনি বলেন, ‘১০০ দিনের কাজ, বাংলার বাড়ির টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে নয়াদিল্লি। ইউজিসিও স্কলারশিপ দিচ্ছে না। বাংলার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধ তৈরি করা হয়েছে। দিল্লি টাকা না দিলেও বুদ্ধি করে রাজ্য সরকার ঠিক কাজগুলি চালিয়ে যাচ্ছে। তাই বিদ্যা, বুদ্ধি আর ঘরের বউ কাউকে ধার দিতে নেই।’
কী বোঝাতে চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী? এই মন্তব্যের মধ্য দিয়ে তিনি এই তিনটি বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। এক, বিদ্যা। অর্থাৎ লেখাপড়া। দুই, বুদ্ধি অর্থাৎ মেধাশক্তি। আর তিন, বাড়ির বউ অর্থাৎ গৃহলক্ষ্মী। মহিলাদের সম্মান তিনি বরাবর অগ্রাধিকার দিয়ে থাকেন। তাই চালু হয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, রপশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী–সহ নানা প্রকল্প। তাই বাড়ির বউ কেন ধার দিতে নেই? সে কথা তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন।
আর কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী? এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা তো ছোটবেলায় কত কবিতা বলতাম। আয় বৃষ্টি ঝেঁপে, ধান দেব মেপে কিংবা কাঠবেড়ালি তুমি আমার বন্ধু হবে? অথবা এক্কা–দোক্কা–তেক্কা–কই সেসব নিয়ে তো প্রশ্ন ওঠেনি। এখন কী একটা ফ্যাশন হয়েছে কিছু হলেই বিতর্ক তৈরি হয়ে যাচ্ছে।’