জি–২০ সম্মেলনে সভাপতিত্বের দায়িত্বে এবার ভারত। আর কলকাতায় হবে দুটি বৈঠক। আজ, সোমবার নিউটাউনের বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টারে তারই একটির সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানের উদ্বোধনী ভাষণে ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’–এর বার্তাই দেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এখানে সঠিক তারিখে বহু রাষ্ট্রনেতা উপস্থিত থাকবেন।
ঠিক কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী? এদিন উন্নয়ন, একতা এবং কর্মসংস্থান নিয়ে নানা কথা বলেছেন। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘আপনাদের দেশ, আমাদের দেশ বলে আমি বিভেদ করি না। গোটা বিশ্বই আমার মাতৃভূমি। আপনারা যখন এখানে এসেছেন তখন এই বাংলা আপনারও। এত বড় একটা সম্মেলনের আয়োজন করতে পেরে এবং এই মঞ্চে বক্তব্য রাখার সুযোগ পেয়ে আমি ধন্য।’
আর কী জানা যাচ্ছে? এবারের ১৮ তম জি–২০ সম্মেলনে কলকাতাকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। নিউটাউনের বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টার–সহ গোটা শহর সাজিয়ে তোলা হয়েছে। আজ, সোমবার সেই নতুন সাজেই জি–২০ দেশের প্রতিনিধিদের স্বাগত জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজকের আলোচ্য বিষয় মূলত অর্থনীতি। তাই মুখ্যমন্ত্রী শুরুতেই রাজ্যের আর্থিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন। রাজস্ব বৃদ্ধি থেকে শুরু করে জিডিপি নিয়ে নিজের ভাষণে বিস্তারিত বলেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকী বাংলার বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পের কথাও তুলে ধরেন।
উল্লেখ্য, নারীশিক্ষায় রাজ্য সরকারের প্রকল্প ‘কন্যাশ্রী’ আগেই বিশ্ব মঞ্চে সম্মানিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক পুরষ্কার পাওয়ার কথা উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়া মানুষকে পরিষেবা পৌঁছে দিতে ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্প পেয়েছে রাষ্ট্রপতি পুরষ্কার। সে কথাও তুলে ধরেন তিনি। জনতার উন্নয়নই তাঁর সরকারের একমাত্র লক্ষ্য বলে জি–২০ সম্মেলনে অতিথিদের জানান তিনি। আজ গোটা দিন বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে ডিজিটাল ফিনান্সিয়াল সিস্টেম সংক্রান্ত বিষয় আলোচনা হবে।