পানিহাটি এবং ঝালদা জোড়া কাউন্সিলর খুনের ঘটনা ঘটেছে। এই নিয়ে নবান্নে জরুরি বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, একইদিনে দক্ষিণবঙ্গের দুই জেলায় দুই কাউন্সিলরের খুনের ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য প্রশাসন। তার জেরেই এই বৈঠক। এখান থেকেই সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমনকী এই ঘটনায় ক্ষোভপ্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে এই বৈঠকের পরই পানিহাটি পৌঁছেছে সিআইডি’র প্রতিনিধিদল। তবে, রাজ্যের পক্ষ থেকে এখনও এই খুনের ঘটনায় সিআইডি তদন্তের কথা সরকারিভাবে জানানো হয়নি। রবিবার সন্ধ্যায় পানিহাটিতে খুন হন ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্ত। আর গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুরের।
অন্যদিকে নবান্ন সূত্রে খবর, আজ, সোমবারের এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, এডিজি আইনশৃঙ্খলা, পুলিশ কমিশনার, ডিআইজি সিআইডি–সহ পুলিশ ও প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্তারা। এই বৈঠকে দুটি ঘটনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। দুটি ঘটনাতেই তদন্তে নেমেছে রাজ্য পুলিশ। ইতিমধ্যেই পানিহাটিতে নিহত তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর অনুপম দত্ত খুনে মূল অভিযুক্ত শম্ভুনাথ পণ্ডিতকে আগ্নেয়াস্ত্র–সহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আর ঝালদার ঘটনায় এখনও দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
আজ, সোমবার সিআইডির পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল পানিহাটিতে পৌঁছেছে। এই ঘটনায় আটক করা হয়েছে আরও দু’জনকে। তাদের খড়দহ থানার পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করেছে। এই নিয়ে অনুপম দত্ত খুনের ঘটনায় পুলিশ মোট তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। অনুপম দত্তের স্ত্রী মীনাক্ষী দত্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সিআইডি ও সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।