কলকাতা বইমেলার উদ্বোধন করতে এসে ঘোষণা করেছিলেন, এই মাঠ আজ থেকে বইমেলা প্রাঙ্গণ করে দেওয়া হল। সেন্ট্রাল পার্ককে আনুষ্ঠানিকভাবে বইমেলা প্রাঙ্গণ ঘোষণা করে তা তুলে দেওয়া হয়েছিল গিল্ড কর্তৃপক্ষের হাতে। হ্যাঁ, এই কাজটি করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোভিড–বিধি মেনে এবার কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা শুরু হয়েছে। তার মধ্যেই আর একটি বড় সুখবর নিয়ে এলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
ঠিক কী করলেন মুখ্যমন্ত্রী? আজ, রবিবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বইমেলায় অংশ নেওয়া সমস্ত প্রকাশকদের ট্রেড লাইসেন্স ফি মুকুবের নির্দেশ দিয়েছেন। যা বইমেলা প্রাঙ্গণে প্রকাশকদের জন্য সুখবর। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পুরমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য সব স্টলের ট্রেড লাইসেন্স ফি মকুবের কথা জানিয়ে দিয়েছেন। এমনকী রাজ্য সরকার লিটল ম্যাগাজিনগুলিকেও অন্তর্ভূক্ত করেছেন।
কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী? নবান্ন সূত্রে খবর, করোনাভাইরাসের জন্য গতবছর বইমেলা করা যায়নি। ফলে বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয় প্রকাশকদের। এই কথাটি মাথায় থিল মুখ্যমন্ত্রীর। উদ্বোধনের দিনই সেটা ঘোষণা করতেন। কিন্তু তখন একটা উপহার দেন মাঠটি। আর দ্বিতীয় উপহার আজ নির্দেশের মাধ্যমে জানালেন। এমনরী যে সব প্রকাশনী সংস্থা ট্রেড লাইসেন্স ফি দিয়েছেন তাদের টাকাও ফেরত দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
আজ, রবিবার বইমেলায় শিশু দিবস। তাই ছোটদের জন্য থাকছে বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা। এই পরিস্থিতিতে প্রকাশকদের জন্যও সুখবর নিয়ে এলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার রয়েছে মোট ৬০০টি স্টল। লিটল ম্যাগাজিনের স্টল ২০০টি। এবারের থিম কান্ট্রি বাংলাদেশ। তাই বইমেলার এই উৎসবকে আরও প্রাণবন্ত করতে এমনই উদ্যোগ নিলেন তিনি বলে সূত্রের খবর।