আজ, বুধবার বিধানসভায় জোড়া কাউন্সিলর হত্যাকাণ্ড নিয়ে মুখ খুললেন মুথ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বক্তব্য রাখেন। বিজেপি বিধায়করা এই বক্তব্যের মাঝেই চিৎকার করে ওয়াকআউট করেন। তখন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভয় পেয়ে পালিয়ে গেল। যদি গরুর কথা বলে দিই, বালির কথা বলে দিই। এঁচড়ে পাকা সব।’ এরপরই তিনি পানিহাটি এবং ঝালদার বিষয়ে মন্তব্য করেন।
ঠিক কী বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? এদিন তিনি বলেন, ‘অনুপম ভাল ছেলে ছিল। মারা গিয়েছে। আর ঝালদায় কাউন্সিলরের মৃত্যুর ঘটনায় একজন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু শীতলকুচিতে ভোটের সময় চারজন মারা গেল। তাদের বিচার হচ্ছে না। তদন্তের জন্য ডাকা হলে জবাব আসছে, ভার্চুয়ালি হাজিরা দেব। তুমি অভিযোগ করে এখন পালিয়ে যাচ্ছো। তার মানে কি তুমি বিচার ব্যবস্থাকে ভুল পথে চালিত করছ?’
আজ, বুধবার বিধানসভা শুরু হতেই ঝালদা এবং পানিহাটি কাউন্সিলর হত্যার ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে জবাব চান বিজেপি বিধায়করা। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের মাঝে মুখ্যমন্ত্রী বাধা দিয়েছেন বলে অভিযোগ তোলেন তাঁরা। এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘বিধানসভায় বিরোধী দলনেতার বক্তব্যের মাঝে বাধা দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কাউন্সিলর খুন থেকে আনিস হত্যার প্রসঙ্গ তুলতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীকে বলেছি, নয়াদিল্লির নির্বাচন কমিশন ভোট করলে তিনি হারবেন। বাংলায় পুলিশকে পার্টি ক্যাডারে পরিণত করা হয়েছে। তাহেরপুরের ওসি বদলই তার প্রমাণ। মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ, ক্ষমতা থাকলে শুভেন্দু অধিকারীকে ছুঁয়ে দেখান। প্রতিহিংসার কারণে মুখ্যমন্ত্রী ব্যক্তিগত আক্রমণ করছেন।'
এদিন অবশ্য নাম না করেই মুখ্যমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে বলেন, ‘নন্দীগ্রামে ভোট লুঠ করার জন্য পুলিশের সঙ্গে কানাকানি কথা বলতে দেখেছি। কিন্তু কাঁথির পুলিশকর্মী কিভাবে মারা গেলেন? তাঁর স্ত্রী তো এফআইআর করেছিলেন। তার কোনও সমাধান হল না কেন? পিতা–পুত্র সব দীর্ঘজীবী হোক।’ মুখ্যমন্ত্রী বনাম বিরোধী দলনেতার মন্তব্যে তেতে উঠেছিল বিধানসভা।