আজ, রবিবার হেস্টিংস সংলগ্ন তক্তাঘাটে ছটপুজোর উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দই ঘাটে ছট পুজোর অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে ছটপুজোর শুভেচ্ছা জানান মুখ্যমন্ত্রী। শান্তিতে ও সাবধানে ছট পুজো করার আবেদন জানান তিনি। গাড়ি থেকে নেমে সোজা পায়ে হেঁটে তক্তাঘাটে পৌঁছন তিনি। সেখানে উপস্থিত ভক্তদের ছটপুজোর শুভেচ্ছা জানান মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে দইঘাটেও ছটপুজো উপলক্ষ্যে এলাহি আয়োজন করা হয়েছে। আগেই রাজ্য সরকার ছটপুজো উপলক্ষ্যে ছুটি ঘোষণা করেছে। এদিন পুণ্যার্থীদের সঙ্গে ঘাটে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। তাতে আপ্লুত হন মানুষজন। মুখ্যমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে খুশি পুণ্যার্থীরা। সব গুরুত্বপূর্ণ ঘাটগুলিতে ছট পুজোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। গঙ্গার ঘাটগুলিতে করা যাবে ছট পুজো বলে নির্দেশ রয়েছে পুলিশ প্রশাসনের। কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট জায়গায় পুজো সামগ্রী ফেলার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
অন্যদিকে তক্তাঘাটে ছটপুজোর অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি সকলের জন্য ছটি মাইয়ার কাছে প্রার্থনা করেছি। ছটি মাইয়া যেন আপনাদের ভাল রাখেন, সুস্থ রাখেন। আপনাদের মনবাঞ্ছা পূর্ণ করুক। আপনাদের ছেলেমেয়েদের চাকরি হোক। ছটপুজোর প্রসাদ ঠেকুয়া খেতে খুব ভালবাসি। কিন্তু বেশি খাব না। মোটা হয়ে যাব। তবে খুব টেস্টি। আমায় পাঠিয়ে দেবেন ঠেকুয়া। আমি ঠেকুয়া খেতে খুব ভালোবাসি। পুলিশ প্রশাসন সমস্ত ঘাটে আপনাদের সহায়তার জন্য রয়েছেন। কেউ ধাক্কাধাক্কি করবেন না। ধীরে ধীরে জলাশয় গিয়ে গঙ্গা মায়ের পুজো করুন। কেউ এসে উসকানি দিলে, ঝগড়া করবেন না। তাহলে ভিড়ে পদপিষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। গণ্ডগোল বাধানোর ছক কষতে পারে অনেকে। কিন্তু কেউ তাতে পা দেবেন না।’
উল্লেখ্য, ঋগ্বেদেও সূর্য পুজো এবং তাঁর স্ত্রী উষাদেবীর পুজোর প্রচলন ছিল। কথিত আছে, সূর্যদেব এবং ছটদেবী ভাই–বোন। তাই ছট পুজোয় সূর্যের আরাধনা অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়। আবার পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী, ব্রহ্মার মানসপুত্রী দেবসেনার উৎপত্তি হয়েছিল সৃষ্টির মূল প্রবৃত্তির ষষ্ঠ অংশ থেকে। তিনি দেবী ষষ্ঠী। অবাঙালিরা দেবী ষষ্ঠীকে বলেন ‘ছটি মাইয়া’।