করোনাভাইরাস রাজ্যে এখন নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু তা যে কোনও মুহূর্তে বাড়তে পারে মানুষের ঔদাসিন্য আচরণের জন্য। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে বৈঠক করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর নবান্ন থেকে ভার্চুয়াল বৈঠকের পর সাংবাদিক বৈঠকও করলেন তিনি। সেখানেই একাধিক বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ফেরানো নিয়ে কড়া ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যারা এই কার্ড ফেরাবে তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ এমনকী বাতিল হতে পারে লাইসেন্সও বলে সতর্ক করেন।
ঠিক কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী? এদিন নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যে সমস্ত নার্সিংহোম স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ফিরিয়ে দিচ্ছে, এবার তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করব আমরা। সাধারণ মানুষ যেন স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধা পায়। আমি আবেদন করব, বাইরে না গিয়ে এই রাজ্যেই চিকিৎসা করান। এখানে এখন সমস্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। কেউ স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ফেরালে ‘রাফ অ্যান্ড টাফ’ হতে হবে। আইনি পথে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে।’
আজ, বুধবার নবান্নে জেলাশাসক, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই আলোচনা হয় স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়েও। বৈঠকেই মুখ্যমন্ত্রী কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘স্বাস্থ্য দফতরকে বলা হয়েছে, যারা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিচ্ছে না তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে লাইসেন্সও বাতিল করা হবে।’
আর কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী? স্বাস্থ্য দফতরে নিয়োগ দ্রুত শেষ করতে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘হেলথ রিক্রুটমেন্ট কমিটিকে স্পেশাল কেয়ার দিয়ে এটা করতে হবে। ডাক্তার, নার্স, প্যাথোলজিকাল কর্মীর প্রয়োজন। স্বাস্থ্য সচিবকে দ্রুত নিয়োগ শেষ করতে বলা হয়েছে। আর আমি চাই, রাজ্যের মানুষ স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ব্যবহার করে রাজ্যের হাসপাতালেই চিকিৎসা করান।’