রাজভবনের ‘ফ্ল্যাগমিটিং’-য়ে যুদ্ধবিরতি চুক্তি সারলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার দুপুরে রাজভবনে ২ জনে প্রায় ১ ঘণ্টা বৈঠক করেন। এর পর টুইটে রাজ্যপাল জানান, ‘আলোচনা সদর্থক।’ তবে কী নিয়ে ২ জনের মধ্যে কথা হয়েছে তা রহস্যই রয়ে গিয়েছে।
রাজ্যপালের আমন্ত্রণ গ্রহণ করে সোমবার বেলা ১২টা নাগাদ নীল-সাদা শাড়ি পরে রাজভবনে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে স্বাগত জানান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় ও তাঁর স্ত্রী। প্রশাসনিক মহলে গুঞ্জন, গণপিটুনি বিল ও তপশিলি জাতি ও উপজাতি বিল নিয়ে কথা হয়েছে ২ জনের মধ্যে। তবে আলোচ্যসূচি নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি কেউ।
গত জুলাইয়ে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হয়ে আসার পর থেকেই নবান্নের সঙ্গে রাজভবনের সম্পর্ক তলানিতে। মুখ্যমন্ত্রীর নানা আচরণে তাঁকে তাঁর সাংবিধানিক কর্তব্য স্মরণ করিয়েছেন রাজ্যপাল। তেমন রাজ্যপালকে মাত্রাজ্ঞান স্মরণ করিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর সভাসদরা। বিবাদ মেটাতে মুখ্যমন্ত্রীকে বারবার রাজভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন জগদীপ ধনখড়। কিন্তু তা গ্রহণ করেননি মুখ্যমন্ত্রী। শেষ পর্যন্ত সোমবার বরফ কিছুটা গলল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
অনেকের মতে, দিল্লিতে কেন্দ্রের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতের পথে না গিয়ে বিজেপিকে রুখে দিয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। পশ্চিমবঙ্গেও আসন্ন নির্বাচনে সেই ফরমুলা প্রয়োগ করতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর দু’জনের পরামর্শদাতাই যখন এক, প্রশান্ত কিশোর, তখন সেই সম্ভাবনা আরও বেশি। এদিন রাজভবন হাজির হয়ে কি রাজ্য রাজনীতির সেই ধারারই সূচনা করলেন মমতা?