আজ, বুধবার ড. সিভি আনন্দ বোস শপথ নিলেন বাংলার স্থায়ী রাজ্যপাল হিসাবে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মন্ত্রিসভার সদস্যরা উপস্থিত হয়ে সৌজন্য বিনিময় করেন। এই সৌজন্য বিনিময় করেন মুখ্যমন্ত্রীও। শপথ অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় সারিতে বসেছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। আর তাঁকে দেখতে পেয়েই ছুটে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেশ কিছুক্ষণ কথা হয় তাঁদের মধ্যে। এটাই রাজভবনে আজ বড় ছবি হিসাবে ধরা পড়েছে।
ঠিক কী কথা হল দু’পক্ষের? রাজনীতির ময়দানে যুযুধান প্রতিপক্ষ হলেও সৌজন্য বজায় রাখেন মুখ্যমন্ত্রী। একাধিকবার সেই নজির দেখা গিয়েছে। স্বয়ং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে দেখতে যান তিনি। এবার বিমান বসুর কাছে গিয়ে বলেন, ‘বিমানদা কেমন আছেন? পিছনে বসে কেন? সামনে আসুন।’ আর তার পরেই বিমান বসুর হাত ধরে তাঁকে সামনের সারির একটি চেয়ার টেনে এনে বসিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে রাজভবন থেকে বেরনোর সময় বিমানবাবু সাংবাদিকদের বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী তাঁর শরীর–স্বাস্থ্যের খোঁজ নিয়েছেন। সুস্থতা কামনা করেছেন।’
আর কী জানা যাচ্ছে? এদিন নতুন রাজ্যপালের শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতদের মধ্যে বিমান বসুই ছিলেন সবচেয়ে প্রবীণ রাজনীতিবিদ। সিভি আনন্দ বোসের আমন্ত্রণে শপথ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধী। তিনিও হাত নেড়ে বিমান বসুর সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেন। এমনকী নিজের আসন থেকে উঠে গিয়ে প্রবীণ নেতার সঙ্গে কথা বলেন গোপালকৃষ্ণ গান্ধী। বামফ্রন্ট জমানায় সম্পর্ক তিক্ত থাকলেও এখন মিটে গিয়েছে।
ঠিক কী হল রাজভবনে? আজ, বুধবার বেলা সাড়ে ১০টা নাগাদ রাজভবনে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন অন্যান্য মন্ত্রী, বিধায়ক, বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা। ঠিক ১০টা বেজে ৪৫ মিনিটে রাজভবনের শপথগ্রহণ কক্ষে উপস্থিত হন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব শপথ বাক্য পাঠ করালেন রাজ্যপালকে। এরপরই অনুষ্ঠানে উপস্থিত নেতা–মন্ত্রীদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেন রাজ্যপাল। নীল হাঁড়িতে সাদা রসগোল্লা দিয়ে রাজ্যপালকে স্বাগত জানান মুখ্যমন্ত্রী।