বৃহস্পতিবার দুপুরে শঙ্খধ্বনি, উলুধ্বনি, ঢাকের তালে ধুনুচি নাচ দেখল তিলোত্তমা কলকাতা। রাজপথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সঙ্গে বিপুল মানুষের সমাগম। ঠিক একমাস পর ১ অক্টোবর দুর্গাপুজোর মহাষষ্ঠী। আর আজ রাজপথে এই দৃশ্য দেখে মনে করছিলেন মানুষজন একমাস আগেই পুজো শুরু হয়ে গিয়েছে। এই মানুষের মনে হওয়াকেই যেন শুনতে পেলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তাই আজ থেকেই পুজো শুরু হয়ে গেল বলে রাজপথ থেকে জানিয়ে দিলেন ফায়ার ব্র্যান্ড লেডি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঠিক কী বলেছেন মুথ্যমন্ত্রী? জোড়াসাঁকো থেকে দুর্গাপুজোর শোভাযাত্রা ঠাকুরবাড়ির সামনে থেকে রেড রোডের দিকে যাত্রা শুরু করে। সেই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার সূচনা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আজ থেকেই আমাদের দুর্গাপুজো শুরু হয়ে গেল। সমস্ত ধর্ম, বর্ণকে নিয়ে এগিয়ে চলব আমরা। ইউনেসকোকে ধন্যবাদ। সারা বিশ্বকে ধন্যবাদ।’ মিছিলের শুরু থেকেই হাঁটছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে উপস্থিত হয়েছেন রাজ্যের নেতা–মন্ত্রী, সাধারণ মানুষ, ছাত্রছাত্রী এবং আমলারাও।
ঠিক কী দেখা গেল? এদিন রাজপথে দেখা যায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মন্ত্রিসভার তথ্যমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন এগিয়ে চলেছেন। আর গানের তালে তালে মুখ্যমন্ত্রী মিছিলে পা বাড়াতেই তাঁর পাশে দেখা গেল রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। পঞ্চায়েত, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য দফতর–সহ সমস্ত দফতরের সচিব, প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছেন। অনেকের মতে, আমলা এবং আইপিএস কর্তাদের মিছিলে হাঁটতে বলা মুখ্যমন্ত্রীরই ভাবনা হয়ে থাকতে পারে।
আর কী দেখা গেল? এদিন মিছিলের কোথাও ছৌনাচ, কোথাও ধামসা–মাদল–সহ নাচ এবং নানা রঙের বেলুন, পতাকা দেখতে পাওয়া যায়। দুর্গামূর্তিও ছিল সেখানে। ধুনুচি নাচের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ঢাকের আওয়াজ এক অন্য মাত্রা যোগ করেছিল মহানগরীতে। আর মিছিলের শুরুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ঝর ঝর বহিছে বারিধারা। শ্রাবণ, ভাদ্র, আশ্বিনে বর্ষণ হয়। কখনও কার্তিকেও হয়। কিছু করার নেই। সব বর্ণ, সব শক্তিকে নিয়ে এগিয়ে চলতে হবে। গরম থেকে বৃষ্টি ভাল। সব ধর্ম, বর্ণকে নিয়ে এগিয়ে চলুন।’