বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপনের অনুষ্ঠান নিয়ে মাথাচাড়া দিল আমন্ত্রণ বিতর্ক। বৃহস্পতিবারের অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনলাইনে আচার্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বক্তব্য রাখলেও উপস্থিত ছিলেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশ্বভারতীর শতবর্ষ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলে অভিযোগ করলেন তৃণমূলের নেতা তথা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
একইসঙ্গে তৃণমূলের দাবি, স্বাধীনতা আন্দোলনে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদানের কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী। তাতে ঠাঁই করেছেন লাহোরেরও। কিন্তু ১৮৫৭ সালে তৈরি প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম তিনি নেননি। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় দেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় যে বিশ্ববিদ্যালয় সব কলেজকে অনুমোদন দিয়েছিল। এই বিষয়ে কলকাতায় তৃণমূল ভবন থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করেন রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং রাজ্যসভার সদস্য ডেরেক ও’ব্রায়েন। সেখানেই ক্ষোভ উগড়ে দেওয়া হয়।
বিশ্বভারতীর রাইটিং প্যাডে লেখা ৪ ডিসেম্বরের একটি চিঠি প্রকাশ্যে এসেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে লেখা এই চিঠি নিয়ে বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে ব্রাত্য বসুকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রাপ্তি স্বীকারের চিঠি কোথায়? ওই চিঠির প্রাপ্তি স্বীকারের নথি আছে কি? উপাচার্য নিজেই সই করে নিজের কাছে ওই চিঠি রেখে দিয়েছিলেন নাকি? এভাবে মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ করা যায়? এইভাবে মুখ্যমন্ত্রীকে অপমান করা যায় না।’
ব্রাত্য আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য আমায় বিস্মিত করেছে। রবীন্দ্রনাথের মেজদাকে বললেন বড়দা। তাঁর স্ত্রীর নাম ভুল বললেন। বারবার বললেন গুজরাতের কথা। কেন বললেন বুঝতে পারলাম না। বারবার গুজরাতের সম্পর্ক খুঁজতে চেয়েছেন। বিশ্বকবিকে আঞ্চলিক করতে চাইলেন।’ রবীন্দ্রনাথকে না জেনে তাঁর সম্পর্কে মন্তব্য করা উচিত হয়নি বলে ক্ষোভপ্রকাশ করলেন তিনি।