আজ দুপুর ৩টে নাগাদ সাংবাদিক বৈঠক করার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এই সাংবাদিক বৈঠক মূলত মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদলির নির্দেশকে কেন্দ্র করে বলে খবর। আর এখান থেকেই তিনি কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাতের পথে হাঁটতে চলেছেন বলে সূত্রের খবর। নবান্ন সূত্রে খবর, তাঁর বদলির বিরোধিতা করে কেন্দ্রকে চিঠি দিতে চলেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন হঠাৎ করে এমন সিদ্ধান্ত তা কেন্দ্রকে ব্যাখ্যা করতে হবে। এখন করোনাভাইরাস রুখতে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কাজ করছেন। তাছাড়া তাঁকে দিঘা উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ইয়াস–এর দাপটে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে দিঘার। সেটা সাজাতে মুখ্যসচিবকেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সেখানে কেন্দ্রের এই ফতোয়া মেনে নিতে নারাজ রাজ্য।
তাহলে কী মুখ্যসচিবকে ছাড়বেন না মুখ্যমন্ত্রী? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। করোনা পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীই চিঠি দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়াদ বাড়ানোর আর্জি করেছিলেন। তারপর ৩ মাস তাঁর মেয়াদ বৃদ্ধি করে কেন্দ্র। আবার এখন আলাপনের বদলির চিঠি এসেছে। এই নিয়ে ক্ষেপে গিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। তাছাড়া হঠকারি সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজ্যের দুই মন্ত্রী ও এক বিধায়ককে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। সেই বিষয়েও ক্ষোভ উগড়ে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। কারণ এখন তাঁরা জামিন পেয়ে গিয়ে কাজে নেমেছেন। আর সিবিআইয়ের মুখ পুড়েছে কলকাতা হাইকোর্টে।
ছিক কী লেখা ছিল চিঠিতে? কেন্দ্রীয় সরকার চিঠি পাঠিয়ে জানিয়েছে, ১৯৮৭ ব্যাচের আইএএস অফিসার আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভারত সরকারের কাজে যোগদানের অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার যোগদান কমিটি। তাঁকে সমস্ত দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিক রাজ্য সরকার। ৩১ মে সকাল ১০টায় নয়াদিল্লির নর্থ ব্লকে কর্মিবর্গ ও প্রশিক্ষণ দফতরে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। এই চিঠির পরই ক্ষেপে গিয়েছে গোটা তৃণমূল কংগ্রেসই। ক্ষুব্ধ স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই ক্ষোভই আজ আছড়ে পড়তে চলেছে বলে সূত্রের খবর।