ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে ভুয়ো তথ্য দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঝড় আসার আগে থেকেই সংখ্যা তৈরি করে রাখছেন তিনি। আর ঝড় যেতে না যেতেই কত বাড়ি ভেঙেছে তা বলে দিচ্ছেন তিনি। এমনই অভিযোগ করলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, আয়লার পর সুন্দরবনে পাকা বাঁধ নির্মাণের জন্য কেন্দ্র থেকে যে টাকা এসেছিল সেই টাকা গেল কোথায়?
এদিন দিলীপবাবু বলেন, ‘রাজ্য সরকার প্রথম থেকেই ঘূর্ণিঝড় ইয়াস নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছে। কেন্দ্রীয় সরকার যে অগ্রিম টাকা দিয়েছে তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী অসন্তুষ্ট। ওই টাকার পরিমাণ ঠিক হয় কোন রাজ্যে উপকূলের দৈর্ঘ্য কত তার ওপরে। যে তিন রাজ্যে ঝড়ের প্রভাব পড়েছে তার মধ্যে উপকূলের দৈর্ঘ্য সব থেকে কম পশ্চিমবঙ্গে।’
দিলীপবাবু বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন ১৩৪টা বাঁধ ও ১০ হাজার বাড়ি না কি ভেঙেছে। আমি জানি না কী করে এত তাড়াতাড়ি জানা গেল ১৩৪টা বাঁধ কোথায় ভেঙেছে। ভাঙলই বা কেন? আয়লার পরে যে ৫,৫০০ কোটি টাকা এসেছিল, তার অধিকাংশটাই এসেছিল তৃণমূলের জনামায়। সেই টাকায় সমস্ত নদীবাঁধ পাকা করার কথা ছিল। কতটা পাকা হয়েছে আমার জানা নেই। যদি পাকা বাঁধ হতো তাহলে এই অবস্থা হতো না।’
মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া তথ্যকে চ্যালেঞ্জ করে দিলীপবাবু বলেন, ‘আমফানের পর মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন ১০ লক্ষ কাঁচা বাড়ি ভেঙেছে। আমরা সরকারি তথ্য ঘেঁটে দেখেছিলাম ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ১০ লক্ষ কাঁচা বাড়িই নেই। এবারও ১০ হাজার বাড়ি ভেঙেছে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা দেখলাম সমুদ্রের কাছাকাছি বাড়িগুলোও সব ভাঙেনি। যে মানুষ ত্রাণশিবিরে যাননি তাকেও সরানো হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। আমার মনে হয় ঝড় আসার আগে থেকে এসব ঠিক করে রাখা হয়।’
দিলীপবাবুর আবেদন, ‘সঠিক তথ্য জানান মুখ্যমন্ত্রী। তাহলে তিনি এব্যাপারে মানুষের সমর্থন পাবেন। আর কেন্দ্রীয় সরকারও ক্ষতিপূরণের টাকা দেবে।’
বলে রাখি, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতিতে মঙ্গলবার প্রশংসা করেছিলেন দিলীপবাবু।