স্কুল কবে খুলবে? কবে খোলা উচিত? এই প্রশ্ন শুনতে হয়েছে স্বয়ং নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে। এবার দুর্গা পুজোর পর স্কুল খোলার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে সোমবার জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘দুর্গাপুজোর পর স্যানিটাইজেশন করে স্কুল খুলবে। এখন করোনা পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে। তৃতীয় ঢেউ না এলে স্কুল খোলা হবে।’
দুর্গাপুজোর পরই যাতে স্কুল খোলা যায় সেই চেষ্টাই করা হচ্ছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। ইতিমধ্যেই নানা খোঁজখবর নেওয়া শুরু হয়েছে। তবে যদি কোভিড পরিস্থিতি খারাপ না হয় তবেই বিষয়টি সম্ভব। সোমবার নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এই রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। সংক্রমণ ১ শতাংশে নেমে এসেছে। তবে আজ ঠিক থাকলেও আগামীকাল কী হবে তা নিয়ে এভাবে বলা সম্ভব নয়। সব ঠিকঠাক থাকলে ভাইফোঁটার পরই রাজ্যে স্কুল খোলা হবে।’
আদিবাসী উন্নয়নের জন্য মুখ্যমন্ত্রী ট্রাইবাল অ্যাডভাইসরি কাউন্সিল তৈরি করেছিলেন। সোমবার ছিল সেই পর্ষদের প্রথম বৈঠক। সেখানে তিনি বলেন, ‘৫০০ সাঁওতালি স্কুলে অলচিকি হরফে পড়ানো হবে। ৬ গুণের বেশি বাজেট বৃদ্ধি পেয়েছে শিক্ষার অগ্রগতিতে। রাজ্যে হবে ২০০টি রাজবংশী স্কুল। আমরা চাই পড়ুয়ারা স্কুলে যাক। কিন্তু আগাম পরিকল্পনা করতে হবে। পুজো এসে গিয়েছে। কাজেই পুজোর ছুটি–ভাইফোঁটা, দেওয়ালির পর পরিস্থিতি ঠিক থাকলে স্কুল খুলব।’
উল্লেখ্য, চলতি মাসের শুরুতেই করোনা প্রতিরোধে গঠিত গ্লোবাল অ্যাডভাইজারি বোর্ডের প্রধান নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নবান্নে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় রোডম্যাপ তৈরি নিয়ে সেই বৈঠকে আলোচনা হয়। তখনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, পুজোর পরই রাজ্যে স্কুল খোলার পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্যের। কোভিড পরিস্থিতি যদি ঠিক থাকে, তবে পুজোর ছুটির পরই একদিন ছাড়া একদিন স্কুলগুলি খোলা হতে পারে।