জট কাটছিল না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধমক দিলেন দমকল কর্তাদের। তারপরই তড়িঘড়ি বহু প্রতীক্ষিত স্টেশন পরিদর্শন সারল দমকল দফতর। দমকল দফতরের ৫ সদস্যের টিম শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশন পরিদর্শন করেন। উদ্বোধনের মুখে থাকা এই স্টেশনের যাবতীয় অগ্নিসুরক্ষা বিধি ঘুরে দেখেন তাঁরা। আর দমকল দফতরের আধিকারিকরা পরিদর্শন শেষে দমকল দফতরের ডিরেক্টর জেনারেলের (ডিজি) কাছে রিপোর্ট পেশ করেন।
ঠিক কী হযেছিল সেখানে? সূত্রের খবর, দমকল দফতরের রিপোর্ট ছাড়া এই রুটে মেট্রো রেল পরিষেবা চালু করা কঠিন ছিল। কিন্তু দমকল দফতর তেমন হেলদোল দেখাচ্ছিল না। খবর যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। তখন ফোন করে দমকল দফতরের আধিকারিকদের ধমক দেন তিনি। তাতে নড়েচড়ে বসে দমকল দফতর। আর পরিদর্শন করেন। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই অগ্নিসুরক্ষা নিয়ে চূড়ান্ত ছাড়পত্র পেতে চলেছে মেট্রো রেল। স্বভাবতই মার্চেই ইস্ট–ওয়েস্ট মেট্রোর ফুলবাগান থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত বর্ধিত রুটে পরিষেবা চালুর সম্ভাবনা দেখা দিল।
উল্লেখ্য, গত নভেম্বর মাসে শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশনের ফায়ার সেফটি সার্টিফিকেট চেয়ে দমকল দফতরের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রথমবার পরিদর্শনে এসেছিল দমকল কর্তারা। একইসঙ্গে বেশকিছু সুপারিশ করা হয়েছিল। সেই মতো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়। অভিযোগ, তারপর থেকে একাধিকবার আগাম পরিদর্শনের সূচি দিয়েও স্টেশন পরিদর্শনে যাননি দমকল কর্তারা। বিষয়টি জানার পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দমকল দফতরের ছাড়পত্র দেওয়া নিয়ে ঢিলেমিতে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তারপরই জট কেটে যায়।
এই বিষয়ে দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু বলেন, ‘কয়েকটি টেকনিক্যাল বিষয় নিয়ে সামান্য জটিলতা ছিল। মেট্রো রেলের পক্ষ থেকে সেই সমস্ত বিষয়ে ‘আন্ডারটেকেন’ দেওয়া হয়েছে। আমরাও চাই যাত্রীদের স্বার্থে শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশন দ্রুত চালু হোক। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে যাবতীয় সহযোগিতা করা হয়েছে।’ আগামী ১৫ মার্চ মেট্রো চালুর চূড়ান্ত ছাড়পত্র দিতে কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটি’র (সিআরএস) পরিদর্শন স্থির হয়ে রয়েছে।