দু’দিন আগে শুক্রবার রাতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল কসবার রাজডাঙা এলাকা। সিন্ডিকেটের দখল নিয়ে ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের সাঙ্গপাঙ্গদের সঙ্গে মন্ত্রী জাভেদ খানের দলবলের সংঘাতে উত্তপ্ত হয়ে উঠে কসবা এলাকা। সূত্রের খবর, কসবা কাণ্ড নিয়ে আজ, সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে মন্ত্রী তথা কসবার বিধায়ক জাভেদ খানকে কড়া প্রশ্নের মুখে ফেললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঠিক কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী? সূত্রের খবর, আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকে জাভেদ খানের উদ্দেশে নুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তোমার এলাকায় রোজ এত গণ্ডগোল হয় কেন? এলাকা দেখে রাখতে পারো না?’ তখন মুখ্যমন্ত্রীকে বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা করেন জাভেদ খান। আর মুখ্যমন্ত্রী ধমক দিয়ে বলেন, ‘কোনও কথা শুনব না। রেগুলার তোমার এলাকা নিয়ে খবর হয়। নিজেরা বসে সব মিটিয়ে নেবে। আর যেন কসবা থেকে গণ্ডগোল না শুনি।’
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাতে কসবা এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের ব্যাপক জমায়েত ছিল। বিরুদ্ধ গোষ্ঠীরও জমায়েত ছিল চোখে পড়ার মতো। তারপরেই রাতে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ হয়। কসবার এই এলাকা কলকাতা পুরসভার ১০৭ নম্বর ওয়ার্ড। এখানের কাউন্সিলর ছিলেন সুশান্ত। গত নির্বাচনে ১০৭ নম্বর ওয়ার্ড মহিলা সংরক্ষিত হওয়ায় সুশান্ত ১০৮ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। আর ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী হন সুশান্ত ঘনিষ্ঠ লিপিকা মান্না। এখানেই দুই গোষ্ঠীর বিবাদ রয়েছে।
কেমন বিবাদ আছে এখানে? জাভিদ খান গোষ্ঠীর সঙ্গে সুশান্ত গোষ্ঠীর অহি–নকুল সম্পর্ক। বিভিন্ন ইস্যুতে তাঁদের মতপার্থক্য থাকায় রোজই এখানে মারামারি হয়। কসবা এলাকায় সিন্ডিকেট নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে। এমনকী গোলাগুলি পর্যন্ত চলে। এই কাণ্ডের জেরে পুলিশ বিপাকে পড়ে যায়। শুক্রবার রাতে যা হয়েছে তাতে নাগরিক নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে পড়ে গিয়েছিল। তাই মন্ত্রী জাভেদ খানকে মুখ্যমন্ত্রীর ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হল।