আজ, রবিবার ২৩ জানুয়ারি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রেড রোডে নেতাজি মৃর্তির পাদদেশে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বিশিষ্টজনেরাও। এখান থেকে কয়েকটি কর্মসূচি ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে এখান থেকেই কেন্দ্রীয় সরকারকে তুলোধনা করেন তিনি।
এদিন তিনি কর্মসূচি নিয়ে বলেন, ‘আজ ২৩ জানুয়ারি থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পুষ্পার্ঘ্য নিবেদনের কর্মসূচি চলবে রাজ্যজুড়ে। তারপর ১৫–২১ অগস্ট এই কর্মসূচি ফের পালন করা হবে। তাম্রলিপ্ত সরকারের জন্য তমলুকে অনুষ্ঠান করা হবে। একইসঙ্গে মহিলা স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নিয়ে পুস্তিকা প্রকাশ করা হবে।’ তারপরই মুখ্যমন্ত্রীকে দেখা যায়, নেতাজির জন্মক্ষণ ১২টা ১৫ মিনিটে বেজে উঠতেই শঙ্খ বাজাতে। নেতাজি পরিবারের সদস্যরাও পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করেন।
নেতাজির গান গাইতে শোনা যায় নেতাজি পরিবারের সদস্য সুগত বসু ও তাঁর ভাইকে। এখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রকে তুলোধনা করে বলেন, ‘নেতাজি শুধু বাংলার নন, তিনি দেশের, তিনি গোটা বিশ্বের। বাংলায় যোজনা কমিশন গড়ে তোলা হবে। মোদী সরকার ক্ষমতায় এসে যোজনা কমিশন তুলে দিয়ে নীতি আয়োগ তৈরি করেছে। এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত লজ্জার।’
এরপরই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, এনসিসি’র আদলে স্কুলে–কলেজে জয় হিন্দ বাহিনী গড়ে তোলা হবে। নেতাজির নামে রাজ্যে আরও একটি বিশ্ববিদ্যালয় হবে। ইচ্ছে ছিল নেতাজির জন্মদিবসে পদযাত্রা করবো। কিন্তু করোনাভাইরাসের আবহে সেই পরিকল্পনা বাতিল করতে হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, ‘যাঁরা ধর্মের নামে দেশ ভাগ করতে চাইছেন, তাঁদের বলব দয়া করে নেতাজি, রবীন্দ্রনাথ, বিবেকানন্দ পড়ে দেখুন। ভাগাভাগি করে, দেশভাগ করে জাতীয়তাবাদ দেখানো যায় না। আমি চাই গান্ধীজি কাকে বেশি ভালবাসতেন, তা নিয়ে বিতর্ক হোক। স্কুলের পাঠ্যপুস্তকে পড়ানো হোক দেশপ্রেমের ইতিহাস। একটা অমর জ্যোতি নিভিয়ে দিয়ে, শুধু নেতাজির মূর্তি বসিয়ে সুভাষচন্দ্রকে শ্রদ্ধা জানানো যায় না।’