শুক্রবার প্রচারের শেষদিন। কলকাতা পুরসভা নির্বাচন ১৯ ডিসেম্বর। আর তাই রাস্তায় নেমে প্রচারে ঝড় তুললেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, বৃহস্পতিবার বাঘাযতীনের যুব সংঘের মাঠে কলকাতার উন্নয়নে নীল–সাদা রংয়ের বিষয় তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘সৌন্দর্যায়নের স্বার্থে কলকাতায় নীল–সাদা রং করিয়েছিলাম। তখন অনেকে ব্যঙ্গ করেছিল। আজ, কলকাতা থেকে অনুপ্রেরণা পেয়ে নয়াদিল্লি, মুম্বই শহরেও নীল–সাদা রং হচ্ছে। গোটা দেশের অনুপ্রেরণা কলকাতা তথা বাংলা। বাংলার কারও সার্টিফিকেটের দরকার নেই। কারণ, বাংলা জানে কিভাবে কাজ করতে হয়।’
বিরোধীদের মুখে সবসময় শোনা গিয়েছে নীল–সাদা রংয়ের কটাক্ষ। এদিন তারই জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী বলে মনে করা হচ্ছে। এই বিষয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো আরও বলেন, ‘তখন ‘আর্জেন্টিনা’ বলে কটাক্ষ করা হয়েছিল। আর নীল–সাদা রং এখন পছন্দ করছেন নয়াদিল্লি, মুম্বইয়ের মানুষজন। নীল–সাদা আমার পার্টির কালার না। ওটা আকাশের রং। আকাশের কোনও সীমা নেই। তাই এই দুই শহরও নীল–সাদা রংয়ের দিকে ঝুঁকছে।’
২০২৪ সালের মধ্যে রাজ্যের প্রতিটি বাড়িতে পৌঁছে যাবে জলের লাইন বলেও জানিয়ে দেন তিনি। তবে এখান থেকে কেন্দ্রকে বিঁধতে ছাড়েননি। তাঁর কথায়, ‘জলকর বসানোর জন্য চাপ দিয়েছিল কেন্দ্র। কিন্তু, আমি রাজি হয়নি। বলে দিয়েছি কোনও জলকর নেওয়া যাবে না। দেশের সব জায়গায় নেওয়া হয় জলকর কিন্তু আমি রাজি হইনি। বিশ্বব্যাঙ্ক থেকে টাকা না পাওয়ার ভয় দেখালেও দমিনি আমি।’
উদ্বাস্ত কলোনি নিয়েও বড় ঘোষণা করেন তিনি। তাঁর দাবি, ‘উদ্বাস্ত কলোনি উচ্ছেদ করা যাবে না। আমি কেন্দ্রকেও বলে দিয়েছি। কাজ করে যাওয়াটাই কাজ। আমি মানুষের কাজ করব, মানুষের বিপদে গিয়ে দাঁড়াব।’ আদি গঙ্গা ড্রেজিং এবং টালি নালার সংস্কার করারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা পুর–পরিষেবা হিসাবে বড় ঘোষণা বলে মনে করছেন অনেকেই।