বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই বুথস্তরে কেমন করে সংগঠনকে শক্তিশালী করে চলতে হবে তার বার্তা আজ দিচ্ছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে প্রস্তুতি করতে নেতাজি ইন্ডোরে বুথস্তরীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হল। সেখানে ‘কেষ্টকে বীরের সম্মানে ফিরিয়ে আনতে হবে’ বলে বড় বার্তা দিলেন দলনেত্রী। আর তা নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো? এদিন নেতাজি ইন্ডোরের সমাবেশ থেকে বিরোধীদের হুঁশিয়ারি দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘বীরভূম হারতে শেখেনি৷ ওটা লাল মাটির রাস্তা৷ প্রতিবার ভোটের আগে কেষ্টকে নজরবন্দি করা হয়। কী ভাবছেন কেষ্টকে জেলে ভরে লোকসভায় আসন দখল করবেন? কুৎসা করে কোনও লাভ নেই। কেষ্টকে বীরের সম্মানে ফিরিয়ে আনতে তৈরি হন। আমার মনের জোর অনেক বেশি৷ কেষ্ট ফিরে না আসা পর্যন্ত লড়াই তিনগুণ হবে। কেষ্টকে জেলে আটকে রাখলেও বীরভূমের দুটো লোকসভা আসন কেউ দখল করতে পারবে না।’
আর কী জানা যাচ্ছে? তৃণমূল নেত্রীর এই মন্তব্যে অনেকটা অক্সিজেন পাবেন অনুব্রত মণ্ডল। আগেও তা দেখা গিয়েছিল। বেহালা থেকে কেষ্ট কি করেছে? কেন আটকে রাখা হয়েছে? দক্ষ সংগঠক বলেও সুর সপ্তমে চড়িয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুতরাং এবার আবার তাঁর হয়ে সওয়াল করে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন পার্থ আর অনুব্রত এক নন। আর জেল থেকে বাইরে বেরিয়ে অনুব্রতকে বলতে শোনা গিয়েছিল, পঞ্চায়েত নির্বাচন এবার ব্যাপক হবে।
আর কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী? আজ নেতাজি ইন্ডোরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ভাবছে কি? জেলে বন্দি করে রেখে দুটো লোকসভা সিট দখল করবে? ও গুড়ে বালি! বীরভূম থেকে কারা এসেছেন? যতদিন কেষ্ট ফিরে না আসছে লড়াই তিনগুণ বাড়বে। বীরভূম শক্ত মাটি।’ পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতির শুরুতেই এই মন্তব্য বেশ চাপে ফেলে দিয়েছে বিরোধীদের। কারণ সিবিআই বড় কোনও আদালতে দিতে পারেনি। তাই বেরিয়ে আসতে পারেন অনুব্রত মণ্ডল। আর এখান থেকেই নতুন স্লোগান তুললেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যআয়— ‘জগাই মাধাই গদাই, এবার হবে বাই বাই৷’