সফরসূচি অনুযায়ী, আগামী ৮ অগস্ট কলকাতায় ফেরার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু সেখানে কাটছাঁট করে আরও আগেই নয়াদিল্লি থেকে ফিরছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রাকৃতিক দুর্যোগ শুরু হওয়ার আশঙ্কায় নির্ধারিত সময়ের আগেই রাজ্যে ফিরছেন মুখ্যমন্ত্রী বলে নবান্ন সূত্রে খবর। নীতি আয়োগের বৈঠক শেষে রবিবারই কলকাতায় ফিরছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সূচি অনুযায়ী, সোমবার ফেরার কথা ছিল।
কেন সফরে কাটছাঁট করলেন মুখ্যমন্ত্রী? আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। সুতরাং ঘূর্ণাবর্তের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বাংলায়। এই খবর জানতে পেরেই নয়াদিল্লি থেকে দ্রুত কলকাতায় ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রবিবারই তিনি কলকাতায় ফিরবেন।
আর কী জানা যাচ্ছে? নয়াদিল্লি তিনি গিয়েছিলেন বৃহস্পতিবার। আর শুক্রবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। রাষ্ট্রপতির সঙ্গেও তাঁর সাক্ষাৎ হয়েছে। এবার নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেবেন রবিবার। কিন্তু কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করার যে সম্ভাবনা ছিল সেটা হচ্ছে না বলেই সূত্রের খবর। এখন বিভিন্ন প্রকল্প বাবদ কেন্দ্রের কাছে প্রায় ৯৭ হাজার কোটি টাকা পাওনা রয়েছে রাজ্যের। থমকে বাংলা আবাস যোজনা এবং সড়ক যোজনার কাজ। সেই কথা তিনি প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়ে এসেছেন।
তারপর সেখানে কী ঘটল? প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষ হওয়ার পর তাঁকে আবার চিঠি লেখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের বিপুল পরিমাণ বকেয়া মেটানোর দাবি–সহ ১০০ দিনের কাজ, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, সর্বশিক্ষা মিশন, স্বচ্ছ ভারত মিশন, খাদ্যে ভর্তুকি, ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান চিঠিতে উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তারপরই এই টাকা আটকে দেওয়ার দাবি তুলে চিঠি দেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলে অভিযোগ। তিনিও প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন।