আগামী বৃহস্পতিবার বিধানসভায় শপথ নিতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এমনটাই জানালেন পশ্চিমবঙ্গের পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
এমনিতে ভবানীপুরে জয়ের পর মমতার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান নিয়ে বিধানসভার সঙ্গে রাজভবনের টানপোড়েন শুরু হয়েছে। মমতার সঙ্গে শপথগ্রহণ করবেন সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়করাও। তাতে বিপত্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে বিধানসভা এবং রাজভবনের দ্বৈরথ। সূত্রের খবর, দিনকয়েক আগে রাজভবন থেকে বিধানসভায় একটি চিঠি এসেছে। তাতে জানানো হয়েছে, নবনির্বাচিত বিধায়কদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন রাজ্যপাল। সংবিধানের ১৮৮ ধারা অনুযায়ী নিজের মনোনীত ব্যক্তি তথা বিধানসভার স্পিকার শপথবাক্য পাঠ করানোর যে অধিকার রাজ্যপাল দিয়েছিলেন, তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ এবার থেকে মুখ্যমন্ত্রী, মন্ত্রিসভার সদস্য এবং বিধায়কদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন রাজ্যপাল। যে ক্ষমতা সংবিধান মোতাবেক তাঁর হাতে আছে।
যদিও সূত্রের খবর, রাজ্যপালের সেই ক্ষমতা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তে একেবারে অসন্তুষ্ট ছিলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ। ঘনিষ্ঠ মহলে তাঁরা জানিয়ে দেন, রাজভবনে মমতাদের শপথগ্রহণ হলে তাঁরা যাবেন না। তারইমধ্যে বিধানসভার তরফে রাজভবনের কাছে পালটা চিঠি পাঠানো হয়। তাতে জানানো হয়, যে কোনও রাজনৈতিক দলের যে কোনও প্রতিনিধি বিধায়ক পদে জিতে শপথ নিতে আসতে পারেন। তাই এই প্রত্যাহার করা ক্ষমতা যেন স্পিকারকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। বিধানসভার এই চিঠির জবাব এখনও দেয়নি রাজভবন। তার আগেই পার্থ জানিয়ে দিয়েছেন, রাজভবনে নয়, বিধানসভাতেই শপথ নেবেন মমতা। তাতে রাজ্যপালকেও আমন্ত্রণ থাকার আর্জি জানানো হয়েছে।