সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে সর্বসম্মতিক্রমে বিরোধী শিবিরের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হলেন যশবন্ত সিনহা। তাই ছাড়তে হল তৃণমূল কংগ্রেস। আজ, মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে ১৮ বিরোধী দলের বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে যশবন্তের নামে সিলমোহর দেওয়া হয়েছে। আর ‘বৃহত্তর বিরোধী স্বার্থে কাজ করার লক্ষ্যে’ তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়েন যশবন্ত। তখন থেকেই জল্পনা ছিল তিনিই রাষ্ট্রপতি পদে বিরোধীদের প্রার্থী হবেন। সেই জল্পনাতেই অবশেষে সিলমোহর পড়ল। আর তারপরই টুইট করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঠিক কী লিখেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো? এদিন যশবন্ত সিনহার নাম বিরোধীদের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসাবে শরদ পাওয়ার ঘোষণা করতেই টুইট করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি লেখেন, ‘আমি অভিনন্দন জানাচ্ছি যশবন্ত সিনহা–কে সর্বসম্মত প্রার্থী হিসাবে উঠে আসার জন্য। সমস্ত বিরোধী দল তাঁকে সমর্থন করেছেন। আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য।’
কেন উঠে এল যশবন্ত সিনহার নাম? সূত্রের খবর, শরদ পাওয়ার–ফারুক আবদুল্লা–গোপালকৃষ্ণ গান্ধী যখন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাইলেন না তখন অনেকেই ভেবেছিলেন বিরোধীরা প্রার্থী দিতে পারবে না। কিন্তু তখনও আস্তিন থেকে পুরোপুরি তাস বের করা হয়নি। এরপর বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনা হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেখানেই উঠে আসে যশবন্ত সিনহার নাম। যিনি একসময় বিজেপিতে ছিলেন। এমনকী মন্ত্রী ছিলেন অটলবিহারী বাজপেয়ীর জমানায়। ফলে বিজেপিকে জবাব দিতে যশবন্তকেই সামনে আনা হল। আর তাতেই চাপে পড়ে গেল মোদী–শাহের বিজেপি।
ঠিক কী বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী? এদিনের টুইটে একটি বার্তাও দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লেখেন, ‘মহান সম্মানীয় একজন মানুষ এবং যাঁর কুশলতা রয়েছে, যিনি মূল্যবোধ তুলে ধরে আমাদের মহান জাতির প্রতিনিধিত্ব করবেন।’ অর্থাৎ বিজেপি সরকার দেশের মূল্যবোধকে নষ্ট করে দিচ্ছে। যা পুনরুদ্ধারে একমাত্র প্রতিনিধি যশবন্ত সিনহা বলে বার্তা দিতে চেয়েছেন তিনি।