সমবায় ব্যাঙ্কগুলিতে বহু বেনামি অ্যাকাউন্ট আছে। তাই রাজ্যের সমস্ত সমবায় ব্যাঙ্কে অডিট করে বেনামি অ্যাকাউন্ট খুঁজে বের করা হবে৷ তারপর সেই সব অ্যাকাউন্টের টাকা সরকারি কোষাগারে জমা করা হবে। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে এই কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকটি সমবায় ব্যাঙ্কে অডিট হবে। বেনামি অ্যাকাউন্টের খোঁজ করা হবে। সেইসব অ্যাকাউন্টের টাকা সরকারি কোষাগারে নিয়ে আসা হবে।’ অবিলম্বে অডিট করতে সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায়কে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বলে খবর।
বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলিকে সক্রিয়তা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, ‘জেলাশাসক এবং বিডিওকে মাঝেমধ্যেই ভিজিট করতে হবে। শিল্পক্ষেত্রে কোনও অভিযোগ এলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে হবে। গ্রামীণ এলাকায় রাস্তা সারাতে উদ্যোগী হতে হবে।’ বালি নিয়ে তিনি আর কোনও অভিযোগ শুনতে চান না বলেও সাফ জানিয়েছেন। নাম না করলেও মুখ্যমন্ত্রীর নিশানায় যে শুভেন্দু অধিকারীই তা স্পষ্ট বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা৷
এদিকে আদালতের অনুমতি ছাড়া কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের স্পেশ্যাল অডিট করা যাবে না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট৷ এই ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান পদে আছেন শুভেন্দু অধিকারী৷ মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে দাবি করেছেন, রাজ্য সরকার চাইলে আইন মেনে সব সমবায় ব্যাঙ্কেরই অডিট করাতে পারে৷ এদিনের প্রশাসনিক বৈঠকে বিভিন্ন দপ্তরের মন্ত্রী ও সচিবদের খরচ কমানোর নির্দেশ দেন তিনি। তিনি বলেন, ‘বুঝেশুনে খরচ করতে হবে। করোনা নিয়ে আমাদের প্রচুর খরচ হয়ে যাচ্ছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পও আছে।’ উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের গত তিন বছরের খরচে অসন্তোষ প্রকাশ করে কয়েকজন জেলাশাসক, সচিব এবং মন্ত্রীকে ভর্ৎসনাও করেন তিনি।
অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সমবায় ব্যাঙ্কগুলির সব বেনামি অ্যাকাউন্টের অডিট হবে৷ অডিট করতে তো কেউ বারণ করেনি৷ আমি বেনামে এক হাজারটা অ্যাকাউন্ট করে রেখে দিলাম৷ কেউ জানতেও পারল না৷ হাজার হাজার কোটি টাকা গচ্ছিত করে রেখে দিলাম৷ বেনামি অ্যাকাউন্ট পেলেই সরকারি খাতায় চলে আসবে৷ কারণ ওটা সরকারের টাকা৷ ওই টাকাটা একজন ভোগ করবে কেন? ওই টাকায় মানুষের উন্নয়নে সরকারি প্রকল্প হবে৷’ পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন, ‘হলদিয়ায় বিজেপি দল এখনও প্রচুর টাকা তোলে৷ যে ট্রাকগুলি ঢোকে তাদের থেকে কত টাকা তোলা হয়? পোর্টের থেকে কত টাকা তোলা হয়? আমি পরিবহণ দফতরের থেকে খবর নিয়েছি৷’