নাগাড়ে বৃষ্টির জেরে ভেসে গিয়েছে গ্রামবাংলা। আর তা দেখতে ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী পাঠিয়েছিলেন মন্ত্রিসভার শীর্ষস্তরের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। এবার ঠিক করলেন তিনি নিজেই যাবেন। আর সরেজমিনে দেখবেন বানভাসি মানুষের কষ্ট। গ্রামবাংলার বেশকিছু জায়গা এখনও জলমগ্ন। জলবন্দি মানুষ ঘর–বাড়ি ছেড়ে উঠে এসেছেন রাস্তায়। তবে চলছে উদ্ধারকার্য। এই পরিস্থিতিতেই বুধবার রাজ্যের বানভাসি এলাকা পরিদর্শনে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নবান্ন সূত্রে খবর, বুধবার হেলিকপ্টারে করে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি বানভাসি এলাকা পরিদর্শন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেসব জায়গায় প্লাবিত হয়েছে গ্রামের পর গ্রাম সেখানে ঘুরে দেখবেন মুখ্যমন্ত্রী। আকাশপথে হাওড়া জেলার উদয়নারায়নপুর ও আমতা, হুগলির গোঘাট, খানাকুল ১ ও ২ নম্বর ব্লক পরিদর্শন করবেন তিনি। কোথাও কোনও ফাঁক আছে কিনা তাও দেখবেন। মানুষ ত্রান–সহ অন্যান্য পরিষেবা পাচ্ছেন কিনা সেটাও তিনি খতিয়ে দেখবেন।
উল্লেখ্য, এখনও জলের তলায় ঘাটাল–চন্দ্রকোনা রাজ্য সড়ক। অধিকাংশ জায়গায় পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি ঘুরে দেখে গিয়েছেন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। ঘাটালের নদীগুলির জলস্তর আগের তুলনায় কিছুটা কমেছে। সেখানে যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার তা ইতিমধ্যেই নেওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েত মন্ত্রীর নির্দেশে সেখানে পানীয় জল পৌঁছে গিয়েছে।
নাগাড়ে ভারী বর্ষণ ও ডিভিসি থেকে জল ছাড়ার কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এখন জল বাড়ছে ভাগীরথী নদীতে। বাড়ছে কালনার নদীর দুই পাড়ের ভাঙনও। যা নিয়ে আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা। পূর্বস্থলী ১ ব্লকের নসরতপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত জালুইডাঙা এবং নদীর ওপারে মনমোহনপুর ও কিশোরীগঞ্জ এলাকার মানুষজন ভাগীরথীর ভাঙনে জর্জরিত। এই পরিস্থিতিতে এবার মানুষের পাশে দাঁড়াতে পরিদর্শনে আসছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।