রামপুরহাট গণহত্যার ঘটনায় এবার সেখানে পা রাখতে চলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামীকাল বৃহস্পতিবার তিনি রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে যাবেন বলে জানিয়েছেন। আজ, বুধবার তিনি নেতাজি ইন্ডোর থেকে এই কথাই জানিয়েছেন। এমনকী এখান থেকে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কেও একহাত নেন মুখ্যমন্ত্রী।
ঠিক কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী? এদিন তিনি একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বলেন, ‘আমরা সরকারে আছি। আমরা কি চাই কোথাও কেউ বোমা মারুক! এটা বদনামের চেষ্টা করা হচ্ছে। যারা ঘটনা ঘটিয়েছে তারা কেউ ছাড়া পাবে না। ঘটনার পর আমি ৫০ বার ফোন করেছি। ওসি ও এসডিপিও–কে সরিয়ে দিয়েছি। সিট গঠন করেছি। ফিরহাদ হাকিমকে পাঠিয়েছিলাম। আজই যেতাম। কিন্তু বিরোধীরা গিয়েছেন। আগামীকাল আমি যাচ্ছি। আমি সিপিআইএম, কংগ্রেসের মতো চক্রান্তকারী দল নই।’
বুধবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের অনুষ্ঠান থেকে রামপুরহাটের ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযোগ করলেন, সরকারকে বদনাম করতে এই ধরনের কাজ করা হচ্ছে। আর তিনি জানান, আগামিকাল রামপুরহাটে যাবেন তিনি। এরপরই বিরোধীদের তুলোধনা করে তিনি বলেন, ‘আজ একদল রামপুরহাট যাচ্ছে ল্যাংচা খেতে খেতে। তাই আজ আমি যাব না। কারণ পায়ে পা তুলে ঝামেলা করব না আমি। তাই ঠিক করেছি কাল যাব।’
রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় আজ চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীকে। সেই প্রসঙ্গে রাজ্যপালকে একহাত নিয়ে তিনি বলেন, ‘লাট সাহেব সর্বদা রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নেই বলে অভিযোগ করেন। কিন্তু নিজে দিব্যি ‘ঘুরে বেড়ান’। বিজেপি শাসিত রাজ্যে এর চেয়ে অনেক বেশি হিংসার ঘটনা ঘটে। তার মানে এটাও নয় যে আমরা রামপুরহাটের ঘটনাকে সমর্থন করছি। রামপুরহাটের বগটুইয়ের ঘটনায় দোষীরা শাস্তি পাবেন। নিরপেক্ষ ভাবেই তদন্ত হবে।’