মিশন ত্রিপুরা। এই কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে আক্রান্ত হতে হয় তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র, যুব নেতাদের। শুধু তাই নয়, মিথ্যে মামলা দেওয়া থেকে গ্রেফতার করা সবই করা হয়েছে। সঙ্গে যোগ হয়েছে প্রবল মারধর ও আক্রমণ। যার জেরে এখনও তাঁরা চিকিৎসাধীন হাসপাতালে। সুদীপ রাহা, জয়া দত্তদের এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসা চলছে এখনও। আর শত ব্যস্ততার মধ্যেও বারবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের দেখতে ছুটে যাচ্ছেন।
আজ, বৃহস্পতিবার হাসপাতালে ফের তাঁদের দেখতে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে আজ সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সুদীপ, জয়াদের দেখে বেরিয়ে ফের বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদেরই গ্রেফতার করা হয়েছে ওখানে। বাইরে থেকে কেউ গেলেই তাঁদের গ্রেফতারের মুখে পড়তে হচ্ছে। কিন্তু আমরা পিছু হঠব না, আমরাও দেখে নেব।’
মুখ্যমন্ত্রীর এই রণংদেহী মেজাজ বুঝিয়ে দিল ত্রিপুরায় খেলা আরও জোরদার হবে। যত আক্রমণ নামবে তত মজবুত হবে আন্দোলন। আর এই আন্দোলনই উৎখাত করবে বিপ্লব দেবের সরকারকে। উল্লেখ্য, টিম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সেখানে সংগঠন সাজাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটক, সমীর চক্রবর্তী, ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, কুণাল ঘোষ–সহ দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা, জয়া দত্তকে ৮টি জোনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। সেই কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়ে হামলার মুখে পড়েন সুদীপ, জয়া, দেবাংশুরা। মাথায় আঘাত লাগে সুদীপের, জয়া দত্তর কান জখম হয়। আবার প্রতিবাদ করলে তাঁদেরই উলটে গ্রেফতার করা হয়। রবিবারই ত্রিপুরায় ছুটে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ব্রাত্য বসু, কুণাল ঘোষরা। থানায় বসে থেকে আহত ধৃত যুবনেতাদের জামিন করিয়ে কলকাতায় ফেরেন অভিষেক।
তারপর থেকে এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি হন সুদীপ রাহা, জয়া দত্ত। সোমবারই তাঁদের দেখতে এসএসকেএমে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর স্নেহের পরশ পান সুদীপ রাহারা। আজ বৃহস্পতিবার আবার দেখতে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে অভিষেক। আর এই আঘাতের পরিবর্তে আন্দোলন যে আরও বড় হবে তা বুঝিয়ে দেন ফায়ার ব্র্যান্ড লেডি—মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।