বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > নয়াদিল্লি সফরে মমতার সঙ্গে বৈঠক অবিজেপি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের, আজ আসরে কেজরি

নয়াদিল্লি সফরে মমতার সঙ্গে বৈঠক অবিজেপি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের, আজ আসরে কেজরি

বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। (ANI Photo) (Ashok Majumder)

জোটের বিষয়ে কংগ্রেস নিয়ে নিজের অবস্থান ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কর্ণাটক জয়ে কংগ্রেসকে অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি দেশের ২০০টি লোকসভা আসনে একের বিরুদ্ধে এক লড়াইয়ে তিনি যে তাঁদের সমর্থন দেবেন সেটাও ঘোষণা করেছেন। কংগ্রেসও জানিয়েছে, একের বিরুদ্ধে একের লড়াইয়ে তাদেরও সায় রয়েছে।

আজ, মঙ্গলবার নয়াদিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বাংলায় আসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করতে। তারপর আগামী ২৬ মে নয়াদিল্লি পাড়ি দেবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ নীতি আয়োগের বৈঠক। এই নীতি আয়োগের বৈঠক অবশ্য ২৭ মে। তার একদিন আগেই নয়াদিল্লি যাবেন তিনি। আর নয়াদিল্লিতে পা রেখেই অবিজেপি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নীতি আয়োগের বৈঠকে মমতার মতোই যোগ দেবেন বিরোধী দল পরিচালিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীরা। তারপর এই বৈঠক শেষে একমঞ্চে সবপক্ষ হবে বলে সূত্রের খবর।

কাদের সঙ্গে বৈঠক হবে মমতার?‌ তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা ডিএমকে প্রধান এম কে স্ট্যালিন, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, ঝাড়খণ্ডের হেমন্ত সোরেন, নয়াদিল্লির অরবিন্দ কেজরিওয়াল, ওড়িশার নবীন পট্টনায়েক–সহ আরও কয়েকজন শীর্ষ বিরোধী নেতা–নেত্রীর সঙ্গে। তৃণমূল সুপ্রিমোর সঙ্গে দেখা করার আগ্রহ ইতিমধ্যেই প্রকাশ করেছেন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও এবং পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানও। নয়াদিল্লির সেই বৈঠকের আগেই আজ, মঙ্গলবার দুপুরে নবান্নে মমতার সঙ্গে বৈঠক করতে আসছেন আম আদমি পার্টি (আপ) প্রধান। নয়াদিল্লির আমলাদের নিজেদের অধীনে নিতে চেয়ে অর্ডিন্যান্স জারি করেছে কেন্দ্র সরকার। এমনকী বিষয়টিকে রাজ্যসভায় বিল আকারে পেশ করতে চলেছে মোদী সরকার। তাই রাজ্যসভায় সব বিরোধী পক্ষকে পাশে পেতে চাইছেন কেজরিওয়াল। এই ইস্যুতে মমতা–কেজরিওয়াল বার্তালাপ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ মোদী সরকার কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে বিরোধী পরিচালিত রাজ্যগুলিকে দমিয়ে রাখতে চাইছে। তাই বিরোধীদের জোট প্রক্রিয়াকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতেই এই বৈঠক হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। বাংলা, নয়াদিল্লি, বিহার, তেলঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, কেরল কিংবা পাঞ্জাব—কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বৈষম্য আর আগ্রাসী মনোভাবের শিকার। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো রক্ষার লড়াই করতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। কেন্দ্র বিরোধিতার এই পরিসরই মহাজোট গঠনের ক্ষেত্রে সহায়ক হয়ে উঠেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

কংগ্রেসের ক্ষেত্রে কী হবে?‌ জোটের বিষয়ে কংগ্রেস নিয়ে নিজের অবস্থান ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কর্ণাটক জয়ে কংগ্রেসকে অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি দেশের ২০০টি লোকসভা আসনে একের বিরুদ্ধে এক লড়াইয়ে তিনি যে তাঁদের সমর্থন দেবেন সেটাও ঘোষণা করেছেন। কংগ্রেসও জানিয়েছে, একের বিরুদ্ধে একের লড়াইয়ে তাদেরও সায় রয়েছে। কিন্তু বাংলায় সেটা মানতে নারাজ অধীর চৌধুরী। সেক্ষেত্রে জটিলতা দেখা দিতে পারে। বাংলায় নিজেদের ক্ষমতাতেই বিজেপিকে একুশের নির্বাচনে পরাজিত করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। পরেও তা করতে প্রস্তুত বলে দলের অন্দরের খবর।

বন্ধ করুন