লন্ডন সফরে যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সাত দিনের সফর। একেবার ঠাসা কর্মসূচি বাংলার মুখ্য়মন্ত্রীর। দুবাই হয়ে তিনি যাবেন লন্ডনে। বাংলার মুখ্য়মন্ত্রীর এই প্রস্তাবিত লন্ডন সফরে অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার দুপুরে কেন্দ্রের তরফে এই অনুমতির কথা নবান্নে জানানো হয়েছে।
সূত্রের খবর, আগামী ২১শে মার্চ লন্ডন সফরের জন্য রওনা দিতে পারেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী। ২৯শে মার্চ তিনি ফিরবেন কলকাতায়। তার মধ্য়ে একাধিক কর্মসূচি তাঁর রয়েছে বিদেশের মাটিতে। সাতদিনের একের পর এক কর্মসূচি। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বাংলার নানা দিক তিনি তুলে ধরবেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানকার ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, গবেষকদের সামনে তিনি বাংলার সংস্কৃতি, সরকারের নানা উন্নয়ন প্রকল্প, বাংলার পর্যটনের নানা দিক তুলে ধরবেন। সেই সঙ্গেই দেশে বিদেশে সমাদর পেয়েছে মুখ্য়মন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প কন্য়াশ্রী। সেই প্রকল্পকেও তিনি তুলে ধরবেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে।
কী কী কর্মসূচি রয়েছে মমতার লন্ডনে?
সূত্রের খবর, শিল্প বৈঠকে যোগ দেবেন মমতা। সেখানে শিল্প বিষয়ক নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। সেখান থেকে উদ্যোগপতিদের আকৃষ্ট করতে নানা বিষয় তুলে ধরা হবে। মূলত বাংলায় যাতে বিনিয়োগ আরও বৃদ্ধি পায় তার জন্য় সবরকম উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এটা তারও একটা অঙ্গ। এবারও মমতার লন্ডন সফরের একটা বড় দিক হল এই বিনিয়োগ টানা।
তবে বাস্তবে কতটা বিনিয়োগ আসবে সেটা অবশ্য় বলবে সময়।
এর আগে ২০২৩ সালে স্পেন সফরে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সেই সময়ও তাঁর বিদেশ সফরের অন্য়তম লক্ষ্য ছিল যাতে বাংলায় আসে বিদেশি বিনিয়োগ। তিনি সেই সময় একাধিক শিল্প গোষ্ঠীর সঙ্গে কথা বলেছিলেন। এমনকী সেই সময় তিনি একাধিক ভারতীয় শিল্পগোষ্ঠী যাঁদের বিদেশে বিনিয়োগ রয়েছে তাঁদের সঙ্গেও কথা বলেছিলেন।
তবে এবার লন্ডন সফরে যাচ্ছেন মমতা। এই সফরের একটা বড় দিক হল অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর বক্তব্য রাখা। সেই সঙ্গেই বিনিয়োগ টানাটাও একটা বড় লক্ষ্য। তার সঙ্গেই বাংলার পর্যটনকে বিদেশের মানুষের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করা হবে।
এদিকে বিরোধীরা বার বারই অভিযোগ করেছেন ঘটা করে শিল্প বাণিজ্য সম্মেলন করে রাজ্য সরকার। বিদেশ সফরে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। কিন্তু বাস্তবে কতটা বিদেশি বিনিয়োগ আসে বাংলায় তা নিয়ে একটা প্রশ্নচিহ্ন থেকেই যায়।