কলকাতা হাইকোর্ট শর্তসাপেক্ষে গঙ্গাসাগর মেলায় সায় দিয়েছে। এমনকী নতুন করে কমিটি পরিবর্তন করা হয়েছে। কিন্তু এখনই সেখানে ভিড় উপচে পড়ছে বলে অভিযোগ। তার উপর বাবুঘাট এবং শিয়ালদহ ট্রানজিট ক্যাম্পে ৩৫ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে বুধবার বাবুঘাটে তীর্থযাত্রীদের বিশ্রাম শিবির ঘুরে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ এবার তিনি নিজে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে চান। এমনকী এখান থেকেই স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন উপলক্ষ্যেও শ্রদ্ধা জানাবেন মুখ্যমন্ত্রী।
এই ট্রানজিট ক্যাম্পে কেন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন তীর্থযাত্রীরা? এই প্রশ্নকে সামনে রেখে গোটা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সংখ্যা যাতে আর না বাড়ে তা খতিয়ে দেখতেই যাবেন তিনি। ইতিমধ্যেই আউটরাম ঘাটে ভিড় হচ্ছে বলে খবর। সামাজিক দূরত্ববিধি থেকে কোভিড–বিধি মানা হচ্ছে কিনা তাও দেখবেন তিনি।
এখন গঙ্গাসাগর মেলা প্রাঙ্গনজুড়ে পুণ্যার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে মাস্ক। ভিড় রুখতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। কপিলমুনির আশ্রমে ঢুকতে গেলে মুখোমুখি হতে হচ্ছে থার্মাল গানের। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমুদ্রতটে সিভিল ডিফেন্স এবং পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ভিড় যাতে না হয় সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টের শর্ত অনুযায়ী, গোটা গঙ্গাসাগর মেলা প্রাঙ্গনকেই নোটিফায়েড এরিয়া ঘোষণা করতে হবে। পুরনো কমিটি বাতিল করে নতুন দুই সদস্যের কমিটিও গড়া হয়েছে। কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। জোড়া টিকার শংসাপত্র না থাকলে প্রবেশ নিষিদ্ধ। ৭২ ঘণ্টা আগে আরটি–পিসিআর পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্ট না থাকলে প্রবেশে ছাড়পত্র নয়।