রাজ্যজুড়ে লকডাউনে সমস্ত প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও খোলা রয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান। আর সেখানেই স্বভাব মতো সকাল সকাল হাজির হয়ে যাচ্ছে বাঙালি। মঙ্গলবার লকডাউনের পর প্রথম সকালে এই দৃশ্য দেখা গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সর্বত্র। মানুষের সচেতনতার এই অভাবে বেশ চিন্তিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই মঙ্গলবার নবান্নে এক সাংবাদিক বৈঠকে বাজারে গেলে কী কী সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে তা জানালেন তিনি।
সোমবার বিকেল ৫টায় পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত ছোট বড় শহরে শুরু হয় লকডাউন। মঙ্গলবার সকালে বাজার খুললে দেখা যায় উপচে পড়েছে মানুষের ভিড়। ব্যাগ ভরে বাজার করছেন বহু মানুষ। দোকানে দোকানে চলছে ধাক্কাধাক্কি। অস্থির পরিস্থিতিতে জিনিসপত্রের দামও বাড়িয়ে দেন অনেক দোকানি। সেখবর যে মুখ্যমন্ত্রীর কানে পৌঁছেছে তা জানা যায় এদিন বিকেলে।
মঙ্গলবার বিকেলে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে লকডাউনের মেয়াদ ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেন মমতা। এর পরই বাজারে মানুষের ভিড় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
সাধারণ মানুষের উদ্দেশে মমতার পরামর্শ, বাজারে ভিড় করবেন না। প্রত্যেকে প্রত্যেকের থেকে দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়ান। বাজারে জিনিসপত্রের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। ফলে বাড়িতে জিনিসপত্র মজুত করার প্রয়োজন নেই। বাজারে যাওয়ার আগে কিছু একটা দিয়ে মুখ ঢেকে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন ফের একবার খুব দরকার না হলে বাড়ির বাইরে না বেরোতে অনুরোধ করেন তিনি।