আর ২৬ দিন কাটাতেই ইংরেজি নতুন বছর ২০২৫। আর ওই নতুন বছরে কলকাতা শহর উপহার। ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাস থেকেই কল্যাণী মাদার স্টেশন থেকে ক্যাসকেডে করে গ্যাস নিয়ে আসা হবে। আর তারপর কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় থাকা সিএনজি স্টেশনগুলিতে তা সরবরাহ করা হবে। এই কাজটি করবে গেইল এবং রাজ্য সরকারের গ্রেটার ক্যালকাটা গ্যাস সাপ্লাই কর্পোরেশনের যৌথ সংস্থা বেঙ্গল গ্যাস কোম্পানি। তাতে গ্যাসের মাধ্যমে যানবাহন চলবে। তাতে একদিকে ভাড়া কমবে অপর দিকে পরিবেশ দূষণ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় পাইপে করে রান্নাঘর ও কারখানায় প্রাকৃতিক গ্যাস বা পিএনজি এবং গাড়ির ক্ষেত্রে সিএনজি গ্যাস সরবরাহের দায়িত্বে আছে এই সংস্থা।
এটা ২০২৫ সাল থেকে চালু হয়ে গেলে শহর ও শহরতলিতে ব্যাপক সাড়া মিলবে। তাই বেঙ্গল গ্যাসের সিইও অনুপম মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘দুর্গাপুর থেকে হুগলির মগরা হয়ে নদিয়ার গয়েশপুর পর্যন্ত পাইপলাইন বসানোর কাজ শেষ করেছে গেইল। ওই পাইপের মধ্যে দিয়ে গ্যাস সরবরাহ করা হবে। ইতিমধ্যেই পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভস সেফটি অর্গানাইজেশন (পেসো) আমাদের অনুমোদন দিয়েছে। কল্যাণীতে আমাদের মাদার স্টেশনের নির্মাণকাজ এখন শেষ পর্যায়ে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসেই কল্যাণীর মাদার স্টেশন থেকে আমরা ক্যাসকেডে করে গ্যাস নিয়ে কলকাতা ও সংলগ্ন সিএনজি স্টেশনগুলিতে সরবরাহ শুরু করা যাবে।’
আরও পড়ুন: সাইবার প্রতারণা চক্রে জড়িত চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট থেকে উচ্চশিক্ষিতরা, পর্দাফাঁস করল ইডি
এই গ্যাসের সরবরাহ বাস্তবায়িত হলে শহর–শহরতলিতে সিএনজি চাহিদার পুরোটা মিটবে। কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, হুগলি, হাওড়া এবং নদিয়া মিলিয়ে মোট ১৫টি সিএনজি স্টেশন এখন চালু আছে। এখানে পানাগড় থেকে ক্যাসকেডে করে গ্যাস নিয়ে এসে সরবরাহ করা হয়। পানাগড় থেকে ট্যাঙ্কার কলকাতায় পৌঁছতে ৬ ঘণ্টা সময় লাগে। তাতেও চাহিদা পুরো মেটে না। এই বিষয়ে বেঙ্গল গ্যাসের সিইও অনুপম মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘এই ১৫টি সিএনজি স্টেশনে দৈনিক ২৫ টনের মতো গ্যাসের চাহিদা আছে। আমরা দিতে পারছি ১৮ টন। কল্যাণী মাদার স্টেশন চালু হলে আমরা সেখান থেকেই ক্যাসকেডে করে গ্যাস নিয়ে এসে চাহিদার পুরো করতে পারব।’ এটাই নতুন বছরের সুখবর।
এখন বেঙ্গল গ্যাস কোম্পানির আওতায় থাকা এলাকায় ৮,৮০০ মতো তিন এবং চার চাকার সিএনজি গাড়ি চলে। তাতে চাহিদা মেটে না বলে অভিযোগ। ২০২৫ সালের মার্চ মাসে বাড়তি ১০টি সিএনজি স্টেশন চালু হবে। তার জেরে চাহিদা মিটবে। তবে রান্নাঘরে পাইপ গ্যাস পেতে সময় লাগবে কলকাতার মানুষের। নিউটাউন পর্যন্ত পাইপ গ্যাসের সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক তৈরি করেছে বেঙ্গল গ্যাস। একটু কাজ বাকি রয়েছে। সেটা কিছুদিন পর হয়ে যাবে। আসলে পাইপ বসানোর অনুমোদন মিলতে সময় লাগছে। সেটা পেলেই দ্রুত হেঁসেলে পৌঁছে যাবে পাইপ গ্যাস।