গোটা বাংলা জুড়ে চর্চার কেন্দ্রে এখনও রয়েছে কয়লা কেলেঙ্কারি। এবার সেই কয়লা পাচারকাণ্ডে গ্রেফতার আব্দুল বারিক বিশ্বাস। সিআইডির হাতে ধরা পড়েছেন তিনি। এয়ারপোর্ট থানা এলাকার নারায়ণপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে সিআইডি তাকে গ্রেফতার করেছে। সূত্রের খবর, জামুরিয়াতে আব্দুলের একটি স্পঞ্জ কারখানা রয়েছে। সেই কারখানার আড়ালেই চলত কয়লা পাচারের কাজ। এমনটাই অভিযোগ। তবে শুধু কয়লা পাচারই নয়। আব্দুল বারিকের বিরুদ্ধে সোনা ও গরু পাচারের অভিযোগও ছিল। সেই অভিযোগে তাকে অতীতে গ্রেফতারও করা হয়েছিল। কিন্তু কীভাবে আব্দুলের খোঁজ পেল CID?
সূত্রের খবর, কয়লা মাফিয়া মীর দিলওয়ারকে জামুরিয়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাকে জেরা করেই আব্দুলের সন্ধান পায় সিআইডি। এরপরই শুরু হয় অভিযান। শুক্রবার বিকালে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সূত্রের খবর, সম্প্রতি ড্রোন উড়িয়ে কয়লা পাচারের মূল জায়গায় পৌঁছতে চেয়েছিলেন তদন্তকারীরা। তখনই দেখা যায় প্রায় ২৫ বছর আগে বন্ধ হয়ে গিয়েছে ইসিএলের একটি খনি। সেই পরিত্যক্ত খনি থেকেই চলছিল কয়লা উত্তোলনের কাজ। এই ফুটেজ দেখে নড়েচড়ে বসে সিআইডি।
আদালতেও সেই ছবি পেশ করে সিআইডি। জামুরিয়ার হিজলগড়া থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল মীর দিলওয়ার হককে। পরে তাকে জেরা করে সিআইডি আব্দুল বারিকের সন্ধান পায়। অনেকের মতে কয়লা পাচারকাণ্ডে তদন্তে নেমে এবার বড় সাফল্য পেল সিআইডি। আর কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সূত্রের খবর একটা সময় গাড়ি ধুয়ে, খালাসি হিসাবে খেটে পেট চালাতেন বসিরহাটের আব্দুল। আর সেই আব্দুলই পাচারচক্রের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ। পরে শাসকদলের সঙ্গেও তার যোগাযোগ গড়ে ওঠে। কিন্তু শাসকদল এই অভিযোগ অতীতেও মানতে চাননি।