কয়লাপাচার কেলেঙ্কারিতে সিউড়ি থানার আইসি মহম্মদ আলি শেখকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। তাঁর বিরুদ্ধে মোটা টাকার বিনিময়ে বীরভূমের কয়লা পাচারকারীদের নিরাপত্তা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। মঙ্গলবার তাঁকে কলকাতার নিজাম প্যালেসে তলব করেছিল সিবিআই।
সিবিআই সূত্রের খবর, বীরভূমের বিস্তীর্ণ এলাকায় কয়লা পাচারকারীদের নিরাপত্তা দিতেন এই মহম্মদ আলি শেখ। মোটা টাকার বিনিময়ে চোরাই কয়লার ট্রাকগুলিকে গ্রিন করিডর তৈরি করে দিতেন তিনি। যার ফলে কোনও বাধার মুখে পড়তে হত না পাচারকারীদের। কয়লাপাচার যখন হয়েছিল তখন বীরভূমের অন্যতম খনিজ সমৃদ্ধ এলাকায় মহম্মদ বাজারের ওসি ছিলেন তিনি। সেই সময় কয়েক বছরে কোটি কোটি টাকা তুলেছিলেন এই মহম্মদ আলি শেখ। অভিযোগ, সেই টাকার বখরা বিশ্বস্ত ভৃত্যের মতো প্রভাবশালীদের কাছে পৌঁছেও দিয়েছিলেন তিনি। এই কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্তরা জেরায় মহম্মদ আলি শেখের নাম জানিয়েছেন বলে দাবি সিবিআইয়ের।
বলে রাখি, গত জানুয়ারিতে বগটুই গণহত্যার অন্যতম অভিযুক্ত লালন শেখের আত্মহত্যায় মহম্মদ আলি শেখের নাম উঠে আসে। ওই ঘটনায় বগটুইকাণ্ডের সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিক ছাড়াও কয়লা পাচারকাণ্ডের তদন্তকারী সুশান্ত ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তিনি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, সিউড়ি থানার ওসি মহম্মদ আলি শেখ ওই এফআইআরের খসড়া তৈরি করেছিলেন। জেল থেকে তাঁকে ওই FIR দায়েরে তৎপর হতে নির্দেশ দিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। এর পর আদালতে একই কথা বলে সিবিআই, ওই FIR-এর বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়ে সিবিআইয়ের আইনজীবী করেন, FIR এর বয়ানে স্পষ্ট এই FIR লালন শেখের স্ত্রীর লেখা নয়। এবার সেই মহম্মদ আলি শেখই কয়লাপাচার কাণ্ডে সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে।