কেন্দ্রে বিজেপি সরকার গঠন হয়নি। হতে চলেছে এনডিএ সরকার। যার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদী। বাংলাতেও তৃণমূল কংগ্রেস জিতে নিয়েছে ২৯টি লোকসভা আসন। ফলে ভোট এখানেই শেষ। এবার কলেজের প্রথম বর্ষের ভর্তি কবে হবে? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। উচ্চশিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, বাংলার বেশিরভাগ কলেজের স্নাতকের প্রথম বর্ষে ভর্তির প্রক্রিয়া আগামী সপ্তাহে শুরু হবে। কিন্তু ওবিসি শংসাপত্র নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের যে নির্দেশ রয়েছে তাকে এক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। ভর্তি প্রক্রিয়ায় জোর দেওয়া হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।
এবার কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া হবে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা সংসদের তত্ত্বাবধানে। বৃহস্পতিবার এই ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে অফিসারদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক হয়। একজন পড়ুয়া ভর্তির ক্ষেত্রে সরকার যে পোর্টাল করেছে তার মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। এমনকী এক থেকে ২৫টি পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন পোর্টালের মাধ্যমে। এটাই ওই বৈঠকে ঠিক হয়েছে। কিন্তু কলেজের ফি কোথায় জমা করতে হবে? এই প্রশ্নও এখন অনেক পড়ুয়ার মধ্যে উঁকিঝুঁকি মারছে। তবে তার জন্যও ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে বলে খবর। লোকসভা নির্বাচনের জন্য ভর্তি প্রক্রিয়া আটকে ছিল। এবার তা খুলে গেল।
আরও পড়ুন: এবার কয়লা পাচারে নাম জড়াল শাহজাহানের, দিনে তোলা হতো ৩০ লক্ষ টাকা ‘কর’
পড়ুয়ার আশঙ্কা দূর করতে জানানো হয়েছে, কলেজে ভর্তির ফি এখন থেকে জমা দিতে হবে উচ্চশিক্ষা সংসদের নির্দিষ্ট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। কলেজে আর দিতে হবে না। আগে কলেজেই ভর্তির ফি জমা দেওয়ার নিয়ম ছিল। কেন এমন নতুন নিয়ম হল? এই বিষয়ে উচ্চশিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, একজন পড়ুয়ারা যদি একটি কলেজে ভর্তি হয় এবং পরে সেখান থেকে অন্য আর একটি কলেজে ভর্তি হন তাহলে আগের কলেজে ভর্তির ফি বেশি থাকলে পরের কলেজে ভর্তি হয়ে অতিরিক্ত টাকা ফেরত পেয়ে যাবেন। ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হলেই টাকা ওই পড়ুয়া ফেরত পাবেন। এটা অনেকের কাছে ভাল নিয়ম বলেই মনে হয়েছে। কারও কাছে গিয়ে টাকা চাইতে হবে না। সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ফেরত যাবে।
এখানে আরও একটি নিয়ম আছে। সেটা হচ্ছে, আগেই কলেজের ক্লাস শুরুর প্রথম দিন পড়ুয়াদের যাবতীয় তথ্য যাচাই করে নেওয়া হবে। তার আগে পড়ুয়াদের কলেজে যাওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। যদি নথি সঠিক না থাকে তাহলে সংশ্লিষ্ট কলেজেরই দায়িত্ব ওই পড়ুয়ার ভর্তি বাতিল করে উচ্চশিক্ষা সংসদে জানিয়ে দেওয়া। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য শান্তা দত্ত দে জানান, উচ্চশিক্ষা দফতর থেকে এখনও নির্দেশ আসেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের হোম সায়েন্স–সহ যে নিজস্ব স্নাতক পাঠ্যক্রম আছে, সেগুলি এবং এমটেক বিভাগে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি তাঁরা যে বিধি এখন রয়েছে সেই মতোই দিয়ে দিয়েছেন।