এখনই খুলছে না পশ্চিমবঙ্গের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়। বুধবার উপাচার্যদের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আপাতত অনলাইনেই চলবে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস। মার্চ মাসের সেমেস্টারের পরীক্ষাও হবে অনলাইনে। অপরদিকে, ১২ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার থেকে স্কুল খোলার সিদ্ধান্তে এদিন কিছুটা এগিয়েছে রাজ্য সরকার। আপাতত নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ক্লাস চালু করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
রাজ্যের কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় খোলা নিয়ে সমস্ত উপাচার্যদের সঙ্গে বুধবার দুপুরে বৈঠক করেন পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বৈঠক শেষে সাংবাদিক বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী জানান, ‘কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এখনও খুলছে না। হস্টেলও খোলা হবে না। শুধু গবেষকদের জন্য খোলা থাকবে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটরিগুলি। বিজোড় সংখ্যার যে সব সেমেস্টার রয়েছে অর্থাৎ তৃতীয় বা পঞ্চম সেমেস্টার, সে সব সেমেস্টারের পরীক্ষা অনলাইনেই হবে। ৩১ মার্চের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে সেই সব পরীক্ষা।’
পাশাপাশি সরস্বতী পুজোর ব্যাপারে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘কলেজ–বিশ্ববিদ্যালয়ে সরস্বতী পুজো করা যাবে কিনা তা নির্ভর করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিজস্ব সিদ্ধান্ত ও ব্যবস্থাপনার ওপর। সব কিছু কোভিড স্বাস্থ্যবিধির কথা মাথায় রেখে করতে হবে।’
আপাতত কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার প্রস্তাব এদিন রাজ্য সরকারকে দিয়েছে উপাচার্যদের সিংহভাগ। এ প্রসঙ্গে তাঁদের যুক্তি, কলেজ–বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে শুধুমাত্র আঞ্চলিক স্তরের পড়ুয়ারা পড়েন না। রাজ্য, এমনকী দেশের বাইরের পড়ুয়ারাও পড়তে আসে কলেজ এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে। তাই হস্টেল খোলাটা জরুরি। কিন্তু বর্তমান কোভিড পরিস্থিতিতে হস্টেল খোলা সম্ভব নয়। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এখনই রাজ্যের কলেজ–বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস শুরু করা যাচ্ছে না।
পাশাপাশি পরীক্ষাও অনেক বাকি আছে। সেগুলিও অনলাইন মাধ্যমেই নেওয়া হবে। যেভাবে অনলাইনে পঠনপাঠন চলছিল। ঠিক সেভাবে পরীক্ষাও নেওয়া হবে। শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, ৩১ মার্চের মধ্যে বিজোড় সংখ্যার যে সব সেমেস্টার রয়েছে সেগুলির পরীক্ষা নিয়ে নেওয়া হবে অনলাইনে। জোড় সংখ্যার সেমেস্টারের পরীক্ষার বিষয়ে পরবর্তী বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেবেন উপাচার্যরা।