নিউজ ১৮ বাংলায় একান্ত সাক্ষাৎকারে মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
মহারাষ্ট্রের সরকার কতদিন টিকতে পারে?
ইন্ডিয়া জোটের ভবিষ্যৎ কী?
মমতা বলেন, হয়তো একবছর টিকবে। উদ্ধব ঠাকরের সময় এটা হয়েছিল। সেই পরিস্থিতি এবার হতে পারে। নট দ্য স্টেবল গভর্নমেন্ট। এটা আমি বলছি। তিনি বলেন, দুটো কেন দশটা ডেপুটি চিফ মিনিস্টার করতে পারে। সো হোয়াট! আপনার যদি নিজের মেজরিটি না থাকে আপনি কীভাবে নেতৃত্ব দেবেন। মুম্বই হল দেশের অর্থনৈতিক রাজধানী। আর বাংলা হল সাংস্কৃতিক রাজধানী।
ইন্ডিয়া জোট প্রসঙ্গে মমতা
ইন্ডিয়া জোট প্রসঙ্গে মমতা বলেন, আমি ইন্ডিয়া অ্যালায়েন্স তৈরি করে দিয়ে এসেছিলাম। আমি কী করব! আই অ্যাম নয় লিডিং দিস ফ্রন্ট। যারা লিডার তাদের এটা দেখা দরকার। তাদের ইউনাইটেড করে দেখা দরকার। তারা করুক আমি থাকব।
আপনার তো নেতৃত্ব দেওয়া উচিত ওরা তো পারছে না?
মমতা বলেন, বুঝুন অবস্থা! যাদের দেখতে নারি তার চরণ ব্যাঁকা। আমায় দেখতেই পারে না, এসব কথা বলছে। আমি চাই না। আমি বাংলার মাটি ছেড়ে কোথাও যেতে চাই না। এখানেই জন্মেছি। শেষ নিঃশ্বাস এখানেই ত্যাগ করব। বাংলাকে আমি ভালোবাসি। আমায় অন্য কিছু হাতছানি দিয়ে ডাকলেও পাবে না। আমি এটা মনে করি আমি এখানে বসেও কিছুটা চালিয়ে যেতে পারি।
মমতা বলেন,আমার ইস্যুতো আমদানি রফতানি নয়, আমার ইস্যু তো জামদানি। আমার ইস্যু বেকারত্ব, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি।
হাঁটা নিয়ে মমতা
মমতা বলেন, আমি যখন হাঁটি আমার মাথা হাঁটে। হাঁটলে পরিশ্রম বেশি করতে পারি। হাঁটলে বেশি মনে রাখতে পারি। হাঁটতে হাঁটতে ফাইল দেখি। একেক দিন একেক রকম। আমি ২৮ হাজার স্টেপ করে এসেছি। বাড়ি গিয়ে ১২ হাজার স্টেপ করব।
মমতা বলেন কাজ করতে করতে যেমন রাফ অ্যান্ড টাফ হতে হয়, তবে তার অন্যদিকে মানবিকও হতে পারে।
মমতা বলেন, আমি নিজেকে মহিলা নয়, মানুষ হিসাবে দেখি। সবাইকে নিয়ে চলতে হয়।
মমতা বলেন, আমরা নাম্বার ওয়ানে থাকব।
জাতীয় কর্মসমিতির মিটিং নিয়ে বলেন, কেউ কেউ কথা বসাচ্ছে। আমাদের ডিসিপ্লিনারি কমিটি আগেও ছিল। কেউ যদি শৃঙ্খলাবিহীন কাজ করে তাদের শৃঙ্খলা মানতেই হবে।
পার্টির আদর্শ মানতেই হবে। পার্টির কথা বাইরে বলার জায়গা নয়। ভেতরে বলতে হবে। আপনারা ঘর ভাঙান, দল ভাঙান। রান্নায় তো হলুদ গুড়ো। আপনারা হলেন হলুদ গুড়ো।