ফিটনেস সার্টিফিকেট না থাকায় বসে গিয়েছিল বাণিজ্যিক গাড়ি। তবে ফের সেই বসে যাওয়া গাড়ি রাস্তায় নামতে চলেছে। সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার তরফে এই বিষয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর ফলে বসে যাওয়া বাস, মিনিবাস থেকে শুরু করে লরি, ট্রাক, স্কুল বাস রাস্তায় নামতে পারবে। সুবিধা হবে পড়ুয়া থেকে শুরু করে সাধারণ যাত্রীদের।
প্রশাসন সূত্রে খবর, ফিটনেস সার্টিফিকেটের মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছে এমন গাড়ির সংখ্যা ৬ লাখ ৩৬ হাজার। এর মধ্যে এমন অনেক গাড়ি রয়েছে, যার মেয়াদ পাঁচ মাসের বেশি সময় ফুরিয়ে গিয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, মেয়াদ ফুরোনোর পর প্রতিদিন ৫০ টাকা করে জরিমানা দিতে হয়। সেই অনুয়ায়ী বসে যাওয়া গাড়িগুলির থেকে ১৫০ দিনের জরিমানা রাজস্ব খাতে জমা দেওয়ার কথা ছিল। ওই পরিমাণে জরিমানা যদি রাজস্ব খাতে জমা হত, তাহলে রাজ্যের কোষাগারে আসত ৪৭৭ কোটি টাকা। কিন্তু বসে যাওয়া গাড়ির মালিকরা পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের কাছে আবেদন করেন, তাঁদের পক্ষে বকেয়া জরিমানার টাকা মেটানো সম্ভব নয়। শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এক মাসের জরিমানার টাকা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই হিসাবে রাজ্যের কোষাগারে সব মিলিয়ে জমা পড়বে ৯৫ কোটি টাকা। বসে যাওয়া গাড়িগুলির কাছ থেকে এককালীন জরিমানার টাকা নেওয়া হচ্ছে। এদিন রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে বসে যাওয়া গাড়ির জরিমানা মকুবের সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেওয়া হয়েছে।
জানা যাচ্ছে, রাজ্য প্রশাসনের তরফে এই জরিমানা মকুবের ফলে ৩৮২ কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হল সরকারের। প্রথম দিকে পরিবহণ দফতরের তরফে জরিমানা মকুবের আবেদন পেশ করা হয়। কিন্তু পরিবহণ তা খারিজ করে দেয়। পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এই বিষয়ে আবেদন জানানো হয়। মুখ্যমন্ত্রী শেষ পর্যন্ত এই জরিমানা মকুবের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।