রেল কর্মীদের জন্য চালু স্পেশ্যাল লোকাল ট্রেনে উঠতে পারবেন না সাধারণ যাত্রীরা। এই নিয়ে আইনশৃঙ্খলার সমস্যা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে চিঠি দেওয়া হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন পুলিশকর্তাদের কাছে। রেলের তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, ৩০ জুন পর্যন্ত লোকাল ট্রেন চালানোর কোনও পরিকল্পনা নেই তাদের।
প্রায় ২ মাসের লকডাউনের পর সোমবার থেকে পশ্চিমবঙ্গে খুলে গিয়েছে প্রায় সব অফিস-কাছারি। কিন্তু চলছে না লোকাল ট্রেন। ফলে শহরতলি থেকে অফিসে পৌঁছতে নাভিশ্বাস উঠতে চলেছে নিত্যযাত্রীদের। কলকাতা থেকে একটু দূরে যারা থাকেন তাদের ছুটি বা বেতন কাটা যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মরিয়া হয়ে কেউ কেউ রেলকর্মীদের জন্য চালানো বিশেষ ট্রেনে উঠে পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা করা হয়েছে পূর্ব রেলের তরফে।
লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ থাকলেও রেলকর্মী, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য রোজ প্রতিটি শাখায় কয়েকটি করে স্পেশ্যাল ট্রেন চালাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। সেই ট্রেনে এবার সাধারণ যাত্রীরা উঠে পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা রেলের। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, স্পেশ্যাল ট্রেনে কোনও পরিস্থিতিতেই সাধারণ যাত্রীরা উঠতে পারবেন না। এব্যাপারে আইনশৃঙ্খলার সমস্যা তৈরি হলে স্থানীয় পুলিশের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন পূর্বরেলের সিনিয়র সিকিওরিটি কমিশনার।
রবিবার কলকাতা-সহ বিভিন্ন কমিশনারেটের কমিশনারের কাছে এই চিঠি পৌঁছেছে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, রাস্তায় পর্যাপ্ত বাস না মিললে, বা বাসে লাগামছাড়া ভাড়া আদায় হলে লোকাল ট্রেন চালু করার দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে পারেন নিত্যযাত্রীরা। সেক্ষেত্রে চাপ বাড়তে পারে রেলের ওপর। পালটা যুক্তিতে অনেকে বলছেন, লোকাল ট্রেন চালালে কারণে – অকারণে তাতে চেপে বসবেন সাধারণ মানুষ। তাছাড়া লোকাল ট্রেনে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং কোনও ভাবেই নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। ফলে সংক্রমণ ছড়াবে কয়েক গুণ গতিতে।