সোমবার থেকে রাজ্যে শুরু হয়ে গেল করোনার দ্বিতীয় টিকাকরণ। আজ থেকে করোনা টিকা নিতে পারেন সাধারণ মানুষ। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও আজ টিকা নিয়েছেন। তবে টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে কয়েকটি শর্ত রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় সরকার আগেই জানিয়েছিল, করোনা টিকা নেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক। তাই কো–উইন পোর্টাল বানিয়েছে তারা। কো–উইন, আরোগ্য সেতু মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ভ্যাকসিনের রেজিস্ট্রেশন করা যাবে।
এদিন ৬০ বছর বয়সের বেশি যে কোনও নাগরিকের পাশাপাশি ৪৫–৫৯ বছর বয়সি কো–মরবিড রোগীদের মধ্যে এই পর্বে টিকাকরণ প্রক্রিয়া চলবে। যা কেন্দ্রের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ, স্রেফ সরকারি নয়, কেন্দ্রের স্বাস্থ্যকার্ডে চিকিৎসার সুবিধা মেলে এমন বেসরকারি হাসপাতালেও টিকা মিলবে। এরপর বাংলার স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধাযুক্ত বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তো রয়েছেই। তবে এক্ষেত্রে চিকিৎসকদের ছাড়পত্র মিললেই টিকা পাবেন কো–মরবিড রোগীরা।
এই করোনা টিকার দাম করা হয়েছে ২৫০ টাকা। সেটা অবশ্যই বেসরকারি হাসপাতালের ক্ষেত্রে। সরকারি হাসপাতালে টিকা মিলবে বিনামূল্যেই। কো–উইন অ্যাপের মাধ্যমে সোমবার দুপুর তিনটের মধ্যে নাম নথিভুক্ত করলে তবে দিনের দিনে টিকা মিলবে। প্রথমদিন ৫০ জনের বেশি অনস্পট টিকা পাবেন না। স্বাস্থ্যদপ্তরের হিসেব অনুযায়ী, শুধু এই টিকাকরণ পর্ব মেটাতেই চার মাস লেগে যাবে। তার উপর রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ–সহ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। তাই কোনও গোলমাল বা অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, তার জন্য রাজ্যগুলির সঙ্গে সমন্বয় রেখে কর্মসূচি শুরু করছে কেন্দ্র।
জানা গিয়েছে, কলকাতার ১৫টি সরকারি এবং ১০টি বেসরকারি হাসপাতালকে এই কর্মসূচির জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রথম দফায় জেলায় ১০০টি হাসপাতাল চিহ্নিত করা হয়েছিল। যা ধাপে ধাপে বাড়বে। অ্যাপের মাধ্যমে নাগরিকরা হাসপাতাল নিজে থেকেই ঠিক করতে পারবেন। চিকিৎসকরা যাতে মেডিক্যাল সার্টিফিকেট দিতে ফিজ না নেন, তার জন্য রাজ্য আইএমএ’র থেকে অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসক সমাজের কাছে অনুরোধ রাখা হয়েছে।
বেসরকারি হাসপাতালের মধ্যে আমরি, অ্যাপোলো, মেডিকা, বেলভিউ, পিয়ারলেস, রুবি–সহ আরও কয়েকটি হাসপাতাল টিকা দিতে শুরু করেছে। আর সরকারি হাসপাতালের মধ্যে আইজিপিএমইআর, এসএসকেএম, এনআরএস, কলকাতা মেডিকেল কলেজ, আর জি কর, ক্যালকাটা ন্যাশানাল মেডিকেল কলেজ, এম আর বাঙুর, বিদ্যাসাগর হাসপাতাল, গার্ডেনরিচ হাসপাতাল, ইএসআই হাসপাতাল, আইডি হাসপাতাল, লেডি ডাফরিন ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল, ডাঃ বি সি রায় হাসপাতাল, শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতাল, চিত্তরঞ্জন সেবা সদন এবং ট্রপিক্যাল মেডিসিন।