জাতীয় সংগীত গাইছিলেন দুই বাঙালি তরুণী। ভুল শব্দ ব্যবহার করে, বসে বসে আর হাতে সিগারেট নিয়ে জাতীয় সংগীত গাইছিলেন দুই তরুণী। সেই ভিডিয়ো আপলোড করা হয়েছিল ফেসবুকে। এরপরই লালবাজার সাইবার সেলে এনিয়ে অভিযোগ জানান অ্যাডভোকেট আত্রেয়ী হালদার। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কাছেও অভিযোগ জানানো হয়েছে।
এদিকে এনিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধতেই ওই ভিডিয়োটিকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এমনকী অ্যাকাউন্টটিও ডিলিট করে দেওয়া হয়েছে। সেই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে ওই দুই তরুণী জাতীয় সংগীত গাইছেন। কিন্তু উলটো পালটা শব্দ ব্যবহার করেছেন তারা। সেই সঙ্গে তারা জাতীয় সংগীত গাইছিলেন বসে বসে। অত্যন্ত বিকৃতভাবে তারা ওই ভারতের জাতীয় সংগীত গাইছেন। যে সংগীতের প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান দেয় গোটা দেশের মানুষ সেই সংগীতকে অত্যন্ত বিকৃতভাবে গাওয়া হচছিল।
এদিকে ফেসবুকে সেই ভিডিয়ো আপলোড হতেই হইচই পড়ে যায়। নিন্দার ঝড় ওঠে। কিন্তু ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। এদিকে ওই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে জাতীয় সংগীত গাওয়ার সময় তারা বসে বসে রীতিমতো হাতপা ছুঁড়ছে। হাতে সিগারেট নিয়ে মজা করছে। চিৎকার করছে। হাসছে। এমনকী গানটা কিছুটা করার পরে একজন বলছেন, গাইজ ক্ষমা করে দিও আমাদের। ক্ষমা চাইছি আমরা। ভারত ভাগ্য বিধাতা বলার সময় তারা রীতিমতো চিৎকার করে হেসে গড়িয়ে পড়েন। এই ভিডিয়ো দেখে শিউরে উঠেছেন অনেকেই। এক টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন অবিলম্বে এদের গ্রেফতার করতে হবে।
তবে তাদের বয়স জানা যায়নি। সেকারণে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা তাদের ছবি ব্যবহার করল না।
অভিযোগকারী আত্রেহী হালদার একটি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন,আমি সাইবার ক্রাইম পিএস, ব্যারাকপুর ও সাইবার ক্রাইম, লালবাজার গোয়েন্দা শাখায় ওই দুই মেয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছি। তারা দেশের জাতীয় সংগীতের অবমাননা করেছেন। তারা জাতীয় পতাকাকে অপমান করেছেন। তারা ভারতের ভাবাবেগে আঘাত দিয়েছেন।
এদিকে পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমে পড়েছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে জাতীয় পতাকা, জাতীয় সংগীতের প্রতি ভারতবাসীর আলাদা আবেগ থাকে। কিন্তু এ কোন শিক্ষা! যেখানে এভাবে দুই বাঙালি প্রকাশ্যে সিগারেট হাতে নিয়ে বিকৃতভাবে জাতীয় সংগীত গাইলেন। প্রশ্ন উঠছে রবীন্দ্রনাথ, বঙ্কিমচন্দ্রের বাংলায় এ কোনও অধঃপতন!ক্ষোভে ফুঁসছেন আম জনতা। তাদের শাস্তির দাবি উঠছে বিভিন্ন মহলে।