রাজ্য পুলিশের প্রাক্তন আইজি পঙ্কজ দত্ত প্রয়াত। শনিবার বারাণসীতে জীবনাবসান হয়েছে তাঁর। এদিকে পঙ্কজ দত্ত দীর্ঘদিন ধরেই শাসকদলের নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে সরাসরি আঙুল তুলতেন। টিভির বিতর্ক সভা মানেই দেখা যেত পঙ্কজ দত্তকে। তাঁর প্রয়াণে শোকগ্রস্ত অনেকেই।
এদিকে ডিবেট শোতে তাঁর বক্তব্যের জেকে বার বার শাসকদলের বিরাগভাজন হতেন পঙ্কজ দত্ত। তবে তাঁর প্রয়াণে শোকবার্তা দিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ ও তৃণমূলের আইটি সেলের ইন চার্জ দেবাংশু ভট্টাচার্য।
কুণাল ঘোষ লিখেছেন, ‘প্রয়াত প্রাক্তন পুলিশকর্তা পঙ্কজ দত্ত। টিভি বিতর্কের আসরে ওঁর সঙ্গে ইস্যুভিত্তিক মতপার্থক্য হত। কিন্তু তার বাইরে তিনি আমাকে স্নেহ করতেন। বহুজনের মুখে শুনেছি উনি আমার প্রশংসা করেছেন। কথাও হত মাঝেমধ্যে। তাঁর প্রয়াণে আন্তরিক শোকজ্ঞাপন করছি। পরিবারকে জানাই সমবেদনা।’
একাধিক ডিবেট শোতে কুণাল ঘোষ ও পঙ্কজ দত্তকে মুখোমুখি হতে দেখা গিয়েছে অতীতে। আর সেখানে কেউ এক ইঞ্চি জমিও একে অপরকে ছেড়ে দেননি। তবে সেই কুণাল ঘোষ অবশ্য পঙ্কজ দত্তর প্রয়াণে শোকবার্তা দিয়েছেন। তবে তারপর নেট নাগরিকরা যেভাবে তৃণমূলের উপর আক্রমণ শুরু করেছেন তাকে ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠছে।
এদিকে কুণাল ঘোষ একা নন, অপর নেতা দেবাংশুও পোস্ট করেছেন তাঁর শোকবার্তা। দেবাংশু লিখেছেন,
'একসঙ্গে অনেক বিতর্ক সভায় অংশগ্রহণ করছি রাজ্য পুলিশের প্রাক্তন আইজি পঙ্কজ দত্তের সাথে । কখনও বিতন্ডা হয়েছে, কখনও আবার অনুষ্ঠানের পর বেরিয়ে হাসিমুখে প্রশংসা করেছেন।
সেই মানুষটা চলে গেলেন ভাবতে কষ্ট হচ্ছে। ঈশ্বর তাঁর আত্মাকে শান্তি দিন।'
তবে দেবাংশুর এই পোস্টের পরে এমন কথা উঠছে নেটপাড়ায় তা কার্যত শালীনতার সীমাও ছাপিয়ে গিয়েছে।
এমনকী কয়েকজন পঙ্কজ দত্তের মৃত্যুর পেছনে সরাসরি তৃণমূলকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে।
প্রসঙ্গত বারাণসীর থিওসফিক্যাল সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ার একটা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়েছিলেন পঙ্কজ দত্ত। সেই অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময়ই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। এরপর তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল বারাণসীর একটা হাসপাতালে। সেখানেই ভর্তি ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন আইজি পঙ্কজ দত্ত। শনিবার প্রয়াত হয়েছেন তিনি।
এদিকে অনেকেই ইতিমধ্য়ে দাবি করছেন যে পঙ্কজ দত্তকে সম্প্রতি পুলিশ থানায় নিয়ে গিয়ে নানা চাপ দিয়েছিল। তারপরই কিছুটা ভেঙে পড়েছিলেন পঙ্কজ দত্ত। সেকারণেই মূলত পঙ্কজ দত্তের মৃত্যুর পরেই শাসকদলের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করছেন অনেকে।