গোটা বাড়ির শরীর জুড়ে ফাটল। মেট্রো রেলের কাজের জন্য বউবাজারে একের পর এক বাড়িতে বিশাল ফাটল। ঘরছাড়া একাধিক পরিবার। এবার এনিয়েই KMRCL-এর সঙ্গে বৈঠকে বসলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তবে বৈঠক শুরুর আগেই তিনি জানিয়ে দেন, একটা স্থায়ী সমাধান চাইছি। একটা তাপ্পি মেরে দিলাম আবার দুবছর, ৫ বছর বাদে কিছু হল এটার জন্য মানুষ অনিশ্চয়তা মধ্যে রয়েছেন। আর বৈঠক শেষে KMRCL এর ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করলেন ফিরহাদ।
তিনি বলেন, ‘যারা ঘর ছাড়া হয়ে গিয়েছেন তাঁরা নিজের দোষে নয়। তাদের সঙ্গে যে ব্যবহারটা হচ্ছে এটা ঠিক নয়। আমি এটাও বলেছি একটা পিয়ার টিম রাখুন।আপনারা দোষ স্বীকার করুন যে একটা অনিচ্ছাকৃত ভুল হয়েছে। আমরা সরি। সেটা মানুষকে বলুন। রুটি রুজির দায়িত্ব কেএমআরসিএলকে নিতে হবে। ওদের এই কাজের জন্য যে সিমেন্ট যে উঠে আসছে তার জেরে নিকাশি বুজে যাচ্ছে। সোমবার থেকে ওরা পিয়ার টিম বসাবেন। ওরা রিপোর্ট দিক। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের জানিয়ে দিলে কোন বাড়ি ভাঙতে হবে, কোনটা ভাঙতে হবে না, তারপর পদক্ষেপ নেব।’
মেয়র বলেন, ‘নিয়মিতভাবে মাটি পরীক্ষা করতে হবে। কতটা বসছে সেটা দেখতে হবে। নজরদারি রাখতে হবে।’ এদিকে প্রশ্ন উঠছে কেএমআরসিএল নিয়ম না মানলে কি সরকার আর কাজের অনুমতি দেবে? এই প্রশ্নের উত্তরে ফিরহাদ হাকিম জানিয়ে দেন, ‘টানেল মানুষের সুবিধার জন্য হচ্ছে। এই কাজটা করতে হবে। এতে যানবাহনের সুবিধা হবে।’